বাংলাদেশ নদী-মাতৃক দেশ হওয়ার কারণে এ দেশের নদ-নদীগুলো মাছের প্রধান আহরণ ক্ষেত্র। তবে বর্ষার সময় এ দেশের খাল-বিলে এক সময়ে প্রচুর মাছ উৎপাদন হতো। কিন্তু কিছু অসাধু জেলে অবৈধভাবে মাছ শিকারের কারণে দেশীয় মাছের উৎপাদন দিন দিন কমে যাচ্ছে। এ বিষয়ে বলা যায় নেড়েচেড়ে বসেছে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা মৎস্য অফিস।
গলাচিপা থানা পুলিশের সহায়তায় উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জহিরুন্নবী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান চালিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছেন অবৈধভাবে খালবিলে ফেলা চায়না চাই (মাছধরার বিশেষ প্রযুক্তি), বেহন্দি জালসহ অন্যান্য ছোট ছোট মাছ শিকারের বিভিন্ন প্রযুক্তি।
সরজমিনে দেখা যায়, শনিবার (২ আগস্ট) উপজেলার গলাচিপা সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া খেয়াঘাট, বোয়ালিয়া বাঁধঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে বোয়ালিয়া খাসখাল থেকে ২৬ টি চায়না চাই ও (০১) একটি বেহন্দি জাল জব্দ করে তা পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে যার আনুমানিক মূল্য প্রায় এক লক্ষ টাকা।
এ বিষয়ে গলাচিপা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জহিরুন্নবী বলেন, 'একটা সময় আমাদের খাল-বিলে বর্ষার মৌসুমে প্রচুর মাছ উৎপাদন হতো। তবে কিছু কিছু জেলে মাছ শিকারের বিভিন্ন অবৈধ প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে আমাদের বদ্ধ জলাশয়ের মাছের অনেক প্রজাতি বিলুপ্তপ্রায়। আমরা এ মাছগুলো রক্ষার জন্য বিশেষ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। এ অভিযান নিয়মিতভাবে অব্যাহত থাকবে।'