আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার নওগাঁয় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে উৎপাদন খরচের তুলনায় বাজারে আলুর দাম কম থাকায় কৃষকদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। এছাড়াও আকস্মিক হিমাগার ভাড়া বাড়ানোর ফলে লোকসানের আশঙ্কায় পড়েছেন চাষিরা।

একাধিক কৃষক জানান, গত বছর হিমাগারে আলু রাখতে প্রতি বস্তায় ৩০০-৩৫০ টাকা নেওয়া হতো। এক বস্তায় ৮০ কেজি পর্যন্ত আলু রাখা যেতো। এ বছর হিমাগার মালিকরা বস্তায় ৫০ কেজির বেশি আলু রাখতে দিবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। মাত্র ৫০ কেজি আলু রাখতেই ৪০০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করেছেন তারা। এ ভাড়া গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।
অনেক কৃষক বলছেন, এবার আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে ক্ষেত্রেকেই ১৩ টাকা ১৪ টাকা ধরে আলু বিক্রি করেছি। কিন্তু এক কেজি আলুতে ১৫ থেকে ১৬ টাকা খরচ হয়েছে।
এরপর আবার মরার উপরে খাঁড়ার ঘা। স্টোরেজ মালিকদের লাগামহীন ভাড়া বৃদ্ধি। এর আগে কখনোই কেজি দরে আলু  রাখেনি
কৃষকেরা। এক বস্তায় ৮০ কেজি পর্যন্ত আলো রাখার সুযোগ পাওয়া যেতো।
কৃষকেরা বলছেন এতে করে শুধু আমরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবো না ভোক্তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
তাই তারা দ্রুত সমাধানের জন্য দাবী। জানিয়েছেন।
নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, উত্তরাঞ্চলে বগুড়া জেলার হিমাগার মালিকদের বরাবর আধিপত্য রয়েছে। মূলত তারাই এ অঞ্চলে আলু সংরক্ষণে প্রতি বছরের ভাড়া নির্ধারণে ভূমিকা রাখেন। কৃষকদের স্বার্থে আলু সংরক্ষণে হিমাগারের ভাড়া কমানোর বিষয়ে কৃষি উপদেষ্টার সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। এ সংকট সমাধানে ইতোমধ্যে বগুড়ার জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা দিয়েছেন কৃষি উপদেষ্টা। আশা করছি হিমাগার মালিকদের সঙ্গে দ্রুতই একটি ফলপ্রসূ আলোচনা হবে।