নওগাঁতে যত্রতত্র গড়ে ওঠা এনজিও বা মাল্টিপারপাস সমিতিতে মানুষের সঞ্চিত অর্থ জমা রেখে সর্বস্বান্ত হয়েছে নওগাঁর জনগণ। প্রায় দিনই দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন এনজিওর সামনে ক্ষতিগ্রস্ত জনসাধারণ ভিড় জমাচ্ছেন। কিন্তু তারা কোন প্রতিকার পাচ্ছে না। কারণ এনজিও মালিকারা জনগণের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে গা ঢাকা দিয়েছে।
বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন নামের একটি এনজিওর বিরুদ্ধে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার নাজিম হাসান তনু, আগে ঢাকায় এমএলএম ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল সেখান থেকে এসে নওগাঁ তে এনজিও ব্যবসা শুরু করেন। নওগাঁতে বিভিন্ন পয়েন্টে এই এনজিওর শাখা রয়েছে। এছাড়াও আশেপাশের জেলা যেমন জয়পুরহাট, বগুড়া, রাজশাহীতে ও বিভিন্ন জায়গাতে শাখা রয়েছে। এখানে ব্যাংকের চেয়েও উচ্চমাত্রায় লভ্যাংশের কারণে মানুষ তাদের সহায় সম্বল এই সকল এনজিওতে জমা রেখেছিলেন। এখন লভ্যাংশ তো পাচ্ছেনই না। তাদের জমানো অর্থটুকু ফেরত পাচ্ছেন না। এনজিও মালিক ও তার পরিবারেরও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সমতা নামের আরেকটি এনজিওর ও একই অবস্থা। এনজির মালিক শাহীন গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে এখন গা ঢাকা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরা দ্বারে দ্বারে ঘুরতে ঘুরতে হতাশাগ্রস্থ হয়ে গেছেন।
মাঝে মাঝেই তারা এই সকল কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন, কিন্তু কোন লাভ হচ্ছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন স্কুল শিক্ষক বলেন, তার পরিবারের ভাই, বোন সকলে মিলে ৩১ লক্ষ টাকা সমতা এনজিওতে জমা রাখেন। এখন কোনভাবেই সেই টাকা ফেরত পাচ্ছে না। এবং এনজিও মালিকের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন।