জয়পুরহাট জেলা কালাই উপজেলা পুনট ইউনিয়নে ৯ নং ওয়ার্ডের রাধানগর গ্রামের কাচা রাস্তাটি সংস্কারের ফলে দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান হলো।

জয়পুরহাট জেলা কালাই উপজেলা পুনট ইউনিয়নে ৯ নং ওয়ার্ডের রাধানগর গ্রামের কাচা রাস্তাটি সংস্কারের ফলে দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান হলো। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় প্রতিনিধি এবং প্রশাসনের কাছে বারবার আবেদন নিবেদন করে কোন কাজ হয় নি। শেষ পর্যন্ত তারা সিদ্ধান্ত নেয় নিজেরাই এই রাস্তায় ইট বিছিয়ে চলাচলের উপযোগী করবেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী অত্র গ্রামের সমাজ সেবক ও দৈনিক দিনকালের প্রতিনিধি অধ্যক্ষ আব্দুল করিম এর নেতৃত্বে ওই এলাকার জনসাধারণের আর্থিক সহযোগিতায় ও শতাধিক যুবকবৃদ্ধ স্বেচ্ছাশ্রমে রাধানগর গ্রামে তিনমাথা মোড় থেকে এবতেদায়ী মাদ্রাসা পর্যন্ত প্রায় ৩০০ ফিট কাচা রাস্তা ইট বিছিয়ে চলাচলের উপযোগী করে তোলেন। রাস্তার কাজ শুরু হওয়ায় এলাকার নারী-পুরুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখা গেছে। এর ফলে মানুষের দীর্ঘ ৫০ বছরের প্রতিক্ষার অবসান ঘটলো। আর সরকারি আর্থিক সাহায্য ছাড়াই এ ধরনের উদ্যোগ স্থানীয় জনগনের ঐক্য প্রত্যয় এবং সংকল্পে এক অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় অত্র এলাকা কৃষি প্রধান হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে আলু, ধান, সবজিসহ বিভিন্ন ধরণের মালামাল বহনে ব্যাপক অসুবিধা হতো। উক্ত রাস্তা দিয়ে এলাকার ৩/৪ টি গ্রামের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, জনসাধারণ, অটো ভ্যান গাড়ি, মোটরসাইকেলসহ নানা ধরনের যানবাহন বর্ষা মৌসুমে চলাচলের অনুপযোগি হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পরতে হতো। বিশেষ করে রোগীদের হাসপাতালে নেওয়া ছিল কঠিন কাজ। অত্র এলাকার স্থানীয় কৃষক ওয়াজেদ আলী বলেন, বছরের পর বছর কাচা রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে আমাদের কষ্ট হয়েছে। অত্র এলাকার শিক্ষার্থী মিম আক্তার হোসাইন আহম্মেদ ও মুরাদ হোসেন বলেন, বর্ষা মৌসুমে প্রতিষ্ঠানে যেতে আমাদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হতো। কালাই থানা বিএনপি’র আহ্বায়ক ইব্রাহীম হোসেন বলেন, রাধানগর গ্রামের সাধারণ মানুষের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে একটি অনুকরণ দৃষ্টান্ত। তিনি বলেন প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি দ্রুত আর্থিক সহায়তা দেওয়া। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা আক্তার জাহান বলেন, এই উদ্যোগ একটি রাস্তা নির্মাণ নয় বরং রাধানগর গ্রামে মানুষের ঐক্য ভ্রাতিত্ববোধ দৃঢ় হবে বলে আশা করছি। আরো দৃঢ় সংকল্পে প্রতীক হয়ে থাকবে।