তীব্র গরম থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টির জন্য নোয়াখালীর চাটখিলে ইস্তেসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। নামাজ শেষে বৃষ্টি চেয়ে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

তীব্র গরম থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টির জন্য নোয়াখালীর চাটখিলে ইস্তেসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। নামাজ শেষে বৃষ্টি চেয়ে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯.৪৫টায় চাটখিল কামিল মাদরাসা মাঠে তীব্র গরম থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টির জন্য  ইস্তেসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। সারাদেশের মতো নোয়াখালীতেও প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। গত কয়েকদিনের তীব্র গরমে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। দেখা মিলছে না বৃষ্টির। মানুষের পাশাপাশি হাঁসফাঁস প্রাণিকুলও দাবদাহে হাঁপিয়ে উঠেছে। নামাজ শেষে বৃষ্টি চেয়ে বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

জানা যায়, চাটখিলের আলেম সমাজের উদ্যোগে বৃষ্টির জন্য চাটখিল কামিল মাদরাসা মাঠে বৃষ্টি প্রার্থনায় বিশেষ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে চাটখিলের বিভিন্ন এলাকার কয়েকশ মুসল্লি অংশ গ্রহণ করেন।  জাময়াতে পড়া এই নামাজের ইমামতি করেন চাটখিল কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল জব্বার।

মাওলানা রাকিব উদ্দিনের সঞ্চালনায় নামাজ পরবর্তী দোয়া পরিচালনা করেন, রাজগঞ্জ ফাজিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা মহিউদ্দিন হাসান। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি এবং গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে দোয়া করা হয়। এ সময় মুসল্লিরা চোখের পানি ছেড়ে মোনাজাত করে তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

আয়োজক কমিটির সভাপতি মাওলানা আক্তার হোসেন বলেন, টানা দাবদাহে মানুষ খুব কষ্টে আছে। আল্লাহ বৃষ্টির জন্য সালাতের মাধ্যমে চাইতে বলেছেন। সেজন্যই সবাই একত্রিত হয়ে সালাতুল ইস্তিসকা আদায় করেছি।

মোনাজাত পরিচালনাকারী মাওলানা মহি উদ্দিন হাসান বলেন, গত কয়েক দিনের অসহনীয় গরম পড়েছে। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠছে। এমন পরিস্থিতিতে মহান আল্লাহর কাছে বৃষ্টি চেয়ে নামাজ আদায় ও মোনাজাত করা ছাড়া মুমিনদের কোনো উপায় নেই। দোয়ায় অনাবৃষ্টি ও গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করা হয়।

এসময় মাওলানা ছাইফ উল্লাহ, মাওলানা মনিরুজ্জামান, মাওলানা ওমর ফারুক, মাওলানা মাসুম বিল্লাহ, মাওলানা আবু সাদেকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষেরা উপস্থিত ছিলেন।