শরীয়তপুরের নড়িয়ায় মন্দিরে চুরির ঘটনায় পুলিশ চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকেলে তাঁদের কে আটক করা হয়।
এ সময় এদের কাছ থেকে চুরি হওয়া তিনটি পিতলের তৈরি গোলাপের ছোট মূর্তি,একটি পিতলের নিতাই মূর্তি,একটি পিতলের গৌর মূর্তি,একটি পিতলের তৈরি মা কালি মূর্তি,দুইটি পিতলের তৈরি ঘন্টা,দুইটি কাশার কাশি,একটি পিতলের ধুপ্তি,একটি পিতলের পঞ,প্রদীপ একটি তামার বাটি,একটি ছোট এবং একটি বড় তামার শীব কোশ,একটি পিতলের সর্প মূর্তি সম্বলিত তামার প্রদীপ,একটি ছোট পিতলের ত্রিশূল।একটি ছোট পিতলের প্রদীপ, একটি ভাঙ্গা তিন টুকরো বিশিষ্ট পিতলের গাছা,একটি পিতলের বির্ষজন,দুইটি পিতলের জল ঘট,দুইটি পিতলের আমসড়া,একটি পিতলের সিঁদরের কৌটা,দুইটি পিতলের ও একটি তামার তৈরি আসমনের পাত্র,দুইটি পিতলের সঙ্খ রাখার পাত্র, একটি পিতলের চামচ,একটি পিতলের ধুপকাঠি রাখার পাত্র,একটি পিতলের জল ঘট একটি পিতলের চামচ,একটি পিতলের ধূপকাঠি রাখার পাত্র, একটি পিতলের জল ঘট একটি পিতলের ছোট গ্লাস, একটি পিতলের ধূপকাঠি ভাঙা অংশ এবং একটি পিতলের প্রদীপের ভাঙা অংশ।
জানা যায়, গত ৯ তারিখ রাত ১১ টা থেকে ১০ তারিখ ভোর সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত এর মধ্যে চোর চক্রটি মন্দিরের গ্রীল ভেঙে মন্দিরে প্রবেশ করে এ মালামাল চুরি করে।
চোর চক্রের আটক হওয়া চার ব্যাক্তি হলো,নড়িয়া বৈশাখী পাড়ার আনিস উদ্দিন ফকিরের ছেলে পলাশ ফকির(১৯) এ ছাড়াও আরও তিনজন হলো কুষ্টিয়া জেলার দড়িকমলপুর গ্রামের সিদ্দিক শেখের ছেলে ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী শুকুর আলী (৩০)এবং নুর আলী শেখের ছেলে রুপচাদ শেখ (৩৮)এদের বর্তমান ঠিকানা দক্ষিণ গৌরাঙ্গ বাজার রোমান ফকিরের বাড়ি এবং নাওডোবা আমজাদ চৌকিদারের কান্দীর নুর ইসলাম সরদারের ছেলে লোকমান হোসেন (৩৩)
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চুরি হওয়া মালামাল তারা সাত হাজার টাকায় পদ্মা সেতু দক্ষিণ এলাকায় ভাঙ্গারী দোকানে বিক্রি করে। পরে আসামি লোকমান হোসেনের কাছ থেকে চুরি হওয়া মালামাল গুলো পুলিশ উদ্ধার করে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে নড়িয়া থানা পুলিশ জানিয়েছেন যে,উদ্ধার হওয়া মালামাল গুলো তারা চুরি করে বলে স্বীকার করে এবং বলে এগুলো মন্দিরের গ্রীল কেটে চুরি করা মালামাল।