দক্ষিণের জেলা পটুয়াখালীর অন্যতম উপজেলা মির্জাগঞ্জ,যেখানে হযরত ইয়ার উদ্দিন খলিফা সাহেব (রঃ) এর একটি মাজার রয়েছে, সেখানে দেশবিদেশের বিভিন্ন ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিরা এসে থাকেন এমনকি এই মাজারকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ইসলামীক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রয়েছে ইয়াতিম খানা,হাফেজী মাদ্রাসা মক্তব ও ইয়ারিয়া দাখিল মাদ্রাসা, সম্প্রতি উক্ত দাখিল মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে ঐ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগে ঘুষ দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে এক ভুক্তভোগী ইদ্রিস মল্লিক নামে মির্জাগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন গত ২৬শে জানুয়ারী যার দেওয়ানী মামলা নং ০৬/২০২৫ইং। উক্ত মামলার বরাত সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহ ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে ঘুষ বানিজ্যের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। এ বিষয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৩/৪ জন আবেদিত ব্যাক্তিদের সাথে কথা হলে তারা জানায় তাদেরকে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে অগ্রীম টাকা নিয়েছে মাদ্রাসা সুপার মাওলানা মোঃ হাবিবুর রহমান, যার কথোপকথনের কল রেকর্ড এ প্রতিনিধির কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। এদের মধ্যে চাকুরী নিশ্চিতের লক্ষ্যে ঘুষ গ্রহনের পদ সমূহ হচ্ছে হিসাব রক্ষক,কম্পিউটার অপারেটর ও নৈশ প্রহরীসহ ৩/৪ টি পদ। মামলাকারী ইদ্রিস মল্লিক ও একজন আবেদিত ছিলো, তবে যখন সে জানতে পারে ঘুষ বানিজ্যের বিষয় তখন সে আদালতের দারস্থ্য হয়। উক্ত মামলার ঘটনায় বিবাদী করা হয়েছে মাদ্রাসার বর্তমান ম্যানেজিংকমিটি, সাবেক কমিটি ও মাদ্রাসা সুপার মাওলানা মোঃ হাবিবুর রহমানকে। বিবাদীর তালিকায় আছে মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও। এ বিষয় জানতে চাইলে মাদ্রাসা সুপার মাওলানা মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন বর্তমানে সরকারি ভাবে দেশের সকল মাদ্রাসায় কমিটি বিলুপ্ত হওয়ায় আপাতত নিয়োগের বিষয়টি স্থগিত রয়েছে, ঘুষ বানিজ্যের বিষয় জানতে চাইলে তিনি কৌশলে বিষয়টি এরিয়ে যান। এ বিষয় মামলার বাদী ইদ্রিস মল্লিক বলেন আমার বাবা অত্র প্রতিষ্ঠানের জমি দাতা সদস্য ছিলেন তার মৃত্যুর পরে রহস্যজনক ভাবে তাদের পরিবারের কাউকে পূণরায় কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, সেকারণে আমি অনিশ্চিত যে আমাকে বৈধ উপায় চাকুরী দিচ্ছে না মাদ্রাসা কমিটি, ফলে আমি ন্যায় বিচারের আশায় আদালতের দারস্থ্য হয়েছি, আসাকরি আদালতে আমি ন্যায় বিচার পাবো। এ বিষয় স্থানীয় জনমনে প্রশ্ন উঠেছে যে,আল্লাহর ওলির মাজারের একটা প্রতিষ্ঠানে যদি এমনটা ঘটে তবে সাধারণ মানুষের মুক্তি মিলবে কি ভাবে, তবে তারা চায় অবশ্যই নিয়োগে সচ্ছ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা,আর সে জন্য অবশ্যই যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা সহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।