বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস এর কেন্দ্রীয় আমীর আল্লামা মুহাম্মদ মামুনুল হক বলেছেন ফ্যাসিবাদ মোকাবেলা রাজপথে যে ঐক্য গড়ে উঠেছে এই ঐক্যের বিরুদ্ধে যদি কেউ ভূমিকা পালন করে তবে বাংলার মানুষের আদালতে দাড়িয়ে তাকে জবাবদিহি করতে হবে। বিশেষ করে আমি প্রধান দুই দল বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীকে লক্ষ্য করে বলি আপনারা যত দ্রুত যেভাবে নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক প্রতিদ্বন্ধিতা আপনারা সংঘাতে যেভাবে নিজেরা নিজেদের মধ্যে বাদানুবাদে জরিয়ে পরেছে এর সুবাদে যদি ফেসিবাদ পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয় তবে বাংলাদেশের মানুষ বিএনপি-জামায়াতকে ক্ষমা করবে না। বুধবার রাতে পটুয়াখালী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস এর জেলা কমিটি কর্তৃক আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মামুনুল হক এসব কথা বলেন। শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনে এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার বিচারের দাবীতে আয়োজিত গণসমাবেশে মামুনুল হক আরও বলেন ৫ই আগষ্ট বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশে দাড়িয়ে দ্যার্থহীন কন্ঠে বলতে চাই দেশ থেকে পালিয়ে গিয়ে, বাংলাদেশের সার্থ বিরোধী আরেকটি দেশে তোমরা ঘাপটি মেরে বসে থেকে বাংলাদেশের বিরোধী স্বড়যন্ত্রের জাল বুনবার চেষ্টা করছো। ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবন্ধ ভাবে তোমাদের ঝড়যন্ত্রকে নৎসাত করে দিবে। আমি আমাদের পার্শবর্তী দেশে ভারতের বাংলাদেশ নীতির চরম সমালোচনা করছি, নিন্দা জানাচ্ছি। অপনারা ১৫ টি বছর সম্পর্ক করেছেন আওয়ামীলীগের সাথে সম্পর্ক করেছেন শেখ হাসিনার সাথে ।আর শেখ হাসিনাকে সমর্থন করতে গিয়ে আপনারা বাংলাদেশের জনগনের উপর অন্যায় অবিচার এবং জুলুম করেছেন। প্রতিটি স্তরে বাংলার মানুষকে তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন। বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছেন। আন্তর্জাতিক বিশ্বে  বাংলাদেশের মানুষ যেন তাদের ন্যায্য দাবী আদায় করতে না পারে ভারত তার অন্তরায় হিসেবে কাজ করেছে। এখন ভারতকে তার মাসুল গুনতে হবে। ইতিমধ্যে সিলঙ্কা থেকে বিতারিত হয়েছেন  নেপাল থেকে বিতারিত হয়েছেন মালদ্বীপ থেকে আপনার বঞ্চিত লাঞ্চিত লাথি খেয়েছেন। সর্বশেষ ছিলো হারোনা ধর হারানো মানিক বাংলাদেশ। মনে করেছেন আপনার আপনাদের কৃতদাস শেখ হাসিনাকে দিয়ে বাংলাদেশকে অনন্তকাল লুটেপুটে খাবে। এই কৃতদাসকে বাংলার মানুষ তার মনিবের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে। আবারও যদি বাংলাদেশের মানুষেল উপর আধিপত্য চালনোর চেষ্টা করেন তবে বাংলার ১৮ কোটি মানুষ রুখে দাড়বে। খেলাফত মজলিশের জেলা সভাপতি মাওলানা আব্বাস আলীর সভাপতিত্বে আয়োজিত গণসমাবেশে বুধবার বিকেল থেকেই জেলার বিভিন্ন এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা জরো হতে শুরু করে। গণসমাবেশে জাময়াতে ইসলামী সহ বিভিন্ন ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের নেতা ও প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।