চলমান বিষয় দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যের অবসানের দাবিতে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) শিক্ষার্থীরা। ২৫ ফেব্রুয়ারি ( মঙ্গলবার) সকাল ১১টায় পটুয়াখালী জেলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করেন, স্বাধীনতার পর থেকে স্বাস্থ্যসেবা খাতকে তৃণমূলে পৌঁছে দিতে ম্যাটস প্রতিষ্ঠিত হলেও, বর্তমানে তারা চরম বৈষম্যের শিকার। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া, শিক্ষাক্রমের অসংগতি, উচ্চশিক্ষার অধিকার বঞ্চিত হওয়া এবং নতুন বোর্ড গঠনের বিষয়ে ন্যায়সঙ্গত দাবি উপেক্ষিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ৪ দফা দাবি সমূহ হচ্ছে :
১. স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করতে হবে এবং কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা প্রদানের জন্য উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদ সৃষ্টি করতে হবে। ২. প্রতিষ্ঠানের নাম, কোর্সের নাম ও কারিকুলামের ত্রুটি সংশোধন করে নতুন ইন্টার্ন লগবুক প্রণয়ন করতে হবে। ৩. বিএমএন্ডডিসি স্বীকৃত ক্লিনিক্যাল বিষয়ে উচ্চশিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। ৪. এলাইড হেলথ প্রফেশনাল বোর্ডের পরিবর্তে "মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড অব বাংলাদেশ" নামে নতুন বোর্ড গঠনসহ সংশোধনী বাস্তবায়ন করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ড. এ. কে. এম শহিদুল আলম (অর্থ সম্পাদক, পটুয়াখালী বিডিএমএ), ড. সুকেশ বিশ্বাস (সহ সাংগঠনিক সম্পাদক, পটুয়াখালী বিডিএমএ), ড. মো. তোফায়েল ইসলাম (প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, পটুয়াখালী বিডিএমএ), ড. মো. সোহান মিয়া (কার্যনিবাহী সদস্য, পটুয়াখালী বিডিএমএ), ড. মো. মাইনুল ইসলাম (কার্যনিবাহী সদস্য, পটুয়াখালী বিডিএমএ) ও মো. সাকিব হোসেন (সমন্বয়ক, সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদ)। সংগঠনের নেতারা জানান, এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একাধিকবার লিখিত প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। তারা হুঁশিয়ারি দেন, দ্রুত দাবি বাস্তবায়ন না হলে তারা কঠোর আন্দোলনের পথে হাঁটবেন এবং এর দায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকেই নিতে হবে।