বর্তমান আন্তবর্তীকালীন সরকারের সংস্কারের উদ্যোগ এবং অবাধ,সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের বিষয় নেতাকর্মীদের সার্বিক সহযোগীতার আহবান জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্সাল (অবঃ) আলতাফ হোসেন চৌধুরী। বৃহস্পতিবার সকালে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিদখালী সরকারী কলেজ মাঠে আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহবান জানান।আলতাফ হোসেন চৌধুরী তার বক্তব্যে আরও বলেন ‘সংস্কার একটি প্রবাহমান প্রক্রিয়া, বিগত দিনেও সংস্কার হয়েছে এখনও হচ্ছে আগামী দিনেও সংস্কার হবে। তবে বিগত ১৫ বছরে ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকারে সময় এত বেশি অন্যায়, অনিয়ম, অত্যাচার, আইন ভঙ্গ হয়েছে যে অনিয়মই যখন নিয়মে পরিনত হয়েছে। এগুলো ভেঙ্গে তার পর নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। আমরা নিবার্চনের বিষয়ে বলেছি, আমরা আওয়ীামীলীগের মত নিশি রাতের নির্বাচন চাই না। আমাদের নির্বাচন কমিশনকে ঢেলে সাজাতে হবে। আমাদের পুলিশ, জুডিশিয়ালী, প্রশাসন, আরম ফোর্সেস,বিজিবি কেও ঢেলে সাজাতে হবে। সেগুলো ঢেলে সাজাতে যে পরিমান সময় প্রয়োজন সেটা আমরা দিব। কিন্ত রোজ কেয়ামত পর্যন্ত তো সময় দিতে পারবো না। মিনিমাম যে সময় প্রয়োজন, যে সংস্কার প্রয়োজন সেটা করতে হবে। আর সে জন্য আমাদের এই বর্তমান সরকারকে সহযোগীতা করতে হবে।‘ভারতীয় আগ্রাসন রুখতে সকলকে সচেতন এবং সতর্ক থাকতে হবে। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর এজন্ট রা বিএনপির মধ্যে কোন্দল এবং বিরোধ সৃষ্টি করতে কাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র এই নেতা।বরিশাল বিএম কলেজের সাবেক ভিপি ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পরিচালত ইমাম জাফর সিকদারের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিগত ১৫ বছরে বিএনপির নির্যাতিত ও কারভোগকারী ১৫শ নেতাকর্মীদের মাঝে উপহার সামগ্রী,শীতবস্র কম্বল বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে অনান্যদের মধ্যে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য মাকসুদ আহম্মেদ বায়জীদ পান্না, পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড.এটিএম মোজাম্মেল হোসেন তপন, জেলা আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এড. সৈয়দ মহসীন উদ্দিন,জেলা যুবদলের সহ সভাপতি সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান রুমি সহ সকল নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।