স্থানীয়ভাবে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা এসব চক্র শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়েই নয়, বরং তাদের কিছু অসাধু সদস্যের সহযোগিতা নিয়েই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
ভারতে পালাচ্ছে মামলার আসামিরা
দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত হত্যা ও খুনের মামলার আসামিরা সহজেই এই সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় কিছু দুর্বৃত্ত তাদের নিরাপদে পারাপারের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। ফলে আসামিদের গ্রেপ্তার করা কঠিন হয়ে পড়ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য।
সীমান্ত এলাকা হওয়ায় সবচেয়ে বেশি সক্রিয় মাদক ও চোরাচালান চক্র। ভারত থেকে ফেনসিডিল, গাঁজা, ইয়াবা, বিদেশি মদসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক অবাধে প্রবেশ করছে। শুধু মাদক নয়, গরু, শাড়ি, কসমেটিকসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় নানা পণ্যও প্রতিদিন চোরাইপথে আসছে। যার কারণে ব্য পরোয়া গাড়ি চালিয়ে রাস্থায় অনেক মানুষ হতাহতের মত নেক্ষার জনক ঘটনা ও অহরহ ঘটতেছে রাস্তায় ঝরতেছে তাজা প্রাণ। এসব থেকে সীমান্তবর্তী কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি মোটা অঙ্কের অর্থ উপার্জন করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
পাশাপাশি স্থানীয়দের অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু অসাধু সদস্য সরাসরি কিংবা পরোক্ষভাবে এই অপরাধ চক্রের সঙ্গে জড়িত। তারা অপরাধীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে চোখ বন্ধ করে রাখে। তাদের চোখের সামনে দিয়ে অবৈধ ভারতীয় পন্য নিয়ে গাড়ি যাচ্ছে।কখনো আবার সরাসরি সহযোগিতাও দিয়ে থাকে।যার ফলে এলাকার সাধারণ যুব সমাজের মধ্যে
অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধির কারণে সীমান্তবর্তী এলাকার সাধারণ মানুষ আতঙ্কে দিনযাপন করছে। রাত হলে সীমান্তবর্তী রাস্তায় চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
সীমান্ত বর্তী এলাকার সচেতন মহলের মতে, গোয়াইনঘাটকে অপরাধের স্বর্গরাজ্য থেকে মুক্ত করতে হলে সীমান্তে কঠোর নজরদারি নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভেতরে থাকা অসাধু সদস্যদের শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনা জরুরি। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
তারা মনে করছেন, এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে গোয়াইনঘাট সীমান্ত শিগগিরই দেশের জন্য বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পরিণত হতে পারে।
