মামলার এজাহার ও প্রতক্ষদর্শি সূত্রে জানা গেছে ১৬ এপ্রিল রবিবার সকাল ৬ টা থেকে ৮টা পর্যন্ত উল্লেখিত ব্যক্তিরাসহ আরো অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসী বাহিনী ২ লক্ষ টাকা চাঁদার দাবিতে বেল্লাল হোসেন সেন্টুর চরদুয়ানি বাজারের পার্সের দোকানে হামলা চালায়।

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানি ইউনিয়নের বিশ্বাস গংদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে একই ইউনিয়নের মো. বাবুল মিয়ার ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আনোয়ার হোসেনের নাতি বেল্লাল হোসেন সেন্টু পাথরঘাটা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় হাসান আকনের স্ত্রী মোসাঃ রিনা বেগম (২৮) প্রায়ত আঃ মন্নান বিশ্বাসের ছেলে আঃ ছোবাহান বিশ্বাস (৫৫), জকির বিশ্বাস (৫০) প্রায়ত ছিদ্দিক বিশ্বাসের ছেলে নাসির বিশ্বাস (৪০) জাকির বিশ্বাসের স্ত্রী মোসাঃ মরিয়ম বেগম (৩৩) তার ছেলে মো. রাজু (৩২) আঃ ছোবাহান বিশ্বাসের স্ত্রী মোসাঃ রুনু বেগম (৪৫) এবং তার ছেলে মো. হৃদয় (৩০) মো. মামুন বিশ্বাসের স্ত্রী মোসাঃ চাদনী (২৪) প্রায়ত আদম আলীর ছেলে মো. জামাল (৫০)সহ আরো ৪০ জনকে আসামী করা হয়েছে।

মামলার এজাহার ও প্রতক্ষদর্শি সূত্রে জানা গেছে ১৬ এপ্রিল রবিবার সকাল ৬ টা থেকে ৮টা পর্যন্ত উল্লেখিত ব্যক্তিরাসহ আরো অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসী বাহিনী ২ লক্ষ টাকা চাঁদার দাবিতে বেল্লাল হোসেন সেন্টুর চরদুয়ানি বাজারের পার্সের দোকানে হামলা চালায়। এসময়ে সন্ত্রাসীরা চাঁদা না পেয়ে দোকানঘর ভাংচুর সহ দোকানের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মী ও প্রশাসন ঘটনা স্থালে গেলে এবং বাজারের ব্যবসায়ীদের চাপের মুখে সন্ত্রাসীরা পালাতে বাধ্য হয়। প্রত্যক্ষদর্শী প্রায়ত এরফান উদ্দিন গোমস্তার ছেলে আঃ মালেক গোমস্তা (৬৩), প্রায়ত মো. জালাল হাওলাদারের ছেলে মো. আল আমিন (৩৫) মো. সেলিমের ছেলে মো. কামরুল (৩২) ও মো.জাকিরসহ অনেকে বলেন বিশ্বাস গংরা একদল মহিলা নিয়ে আকস্মিক ভাবে সেন্টুর দোকানে ঢুকে আমাদের চোখের সামনে দোকানঘর ভাংচুরসহ দোকানের অনেক মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।

তারা বলেন আমাদের চোখের সামনে সন্ত্রাসীরা মালামাল লুট করলেও বিশ্বাসগংরা নামকড়া ডাকাত, হরিণ শিকারি ও মামলাবাজ হওয়ায় আমরা তাদেরকে বাধা দিতে সাহস পাইনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাথরঘাটা ও চরদুয়ানির অগনিত ব্যক্তিরা বলেন জাকির বিশ্বাস গং চিহ্নিত ডাকাত,ধর্ষণকারি ও হরিণ শিকারি। তারা বলেন জাকির বিশ্বাস গংরা এমন কোন অপরাধ নাই যা তারা করেনা। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বল্লে তাদের মেয়েদের দিয়ে অসত্য মামলা দিয়ে হয়রানি করাসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করা হয়। মামলার বাদী বেল্লাল হোসেন সেন্টু বলেন আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন যাবৎ ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে আসছিল বিশ্বাস গং। তাদের দাবীকৃত চাঁদা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ১৬ এপ্রিল আকস্মিক আমার দোকান ঘর ভাংচুর ও দোকানের মালামাল লুট করে বিশ্বাস গং। তিনি বলেন আমি আদালতে মামলা করেও নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।

সেন্টু বলেন বিশ্বাস গংরা চিহ্নিত ডাকাত ও সন্ত্রাসী তাই তারা আমাকে বিভিন্ন ভাবে প্রাণনাশের হুমকী দিয়ে আসছে। জানতে চাইলে উক্ত দোকানঘরের মালিক দাবী করে  মোঃ হাসান আকনের স্ত্রী মোসাঃ রিনা বেগম বলেন আমার স্বামীর কাছ থেকে উক্ত দোকানঘর ভাড়া নিয়ে এখন বেল্লাল হোসেন সেন্টু নিজের বলে দাবী করছেন। দোকানঘর নিজের হলে আইনের আশ্রয় না নিয়ে মারধর ও ভাংচুর কেন করলেন জানতে চাইলে তিনি কোন সদোত্তর দিতে পারেননি। পাথরঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, বিশ্বাস গংদের ব্যাপারে আমার চেয়ে আপনারা পাথরঘাটাবাসি ভাল জানেন। তিনি বলেন সেন্টু আইনের আশ্রয় নিয়েছেন তাই বিষয়টা আদালতের মাধ্যমে সমাধান হবে বলে আশা করি।