পুলিশের ভূয়া তদন্ত রিপোর্ট, পালিয়ে বেড়াচ্ছে বৃদ্ধ কুমিল্লার ব্রাম্মণপাড়ায় প্রতারনামূলক মিথ্যা অভিযোগে পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তার ভুলে এক সঅসহায় ৮০ বছরের বৃদ্ধের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিলের অভিযোগ উঠেছে। কফিল উদ্দিন বয়স (৮০) কুমিল্লা জেলার বি পাড়া উপজেলা শিদলাই ইউনিয়নের লাড়ুচোর গ্রামের জম্মগ্রহন করেন। ছেলেসন্তানদের সাথে থাকেন কুমিল্লা শহরে গত ১৫ বছর ধরে। ধরাছোঁয়ার বাইরে মামলার ব্যপারে, তবুও পুলিশের মিথ্যা তদন্ত প্রতিবেদনে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ভুক্তভোগী কফিল উদ্দিন (৮০)।
জানা যায় , মামলার বাদী মোঃ আমজাদ হোসেন মাষ্টার (৪৭) তার ছেলে নাইমকে (২২) সৌদি আরব পাঠানোর উদ্দেশ্যে, মামলার আসামি কফিল উদ্দিনের মেয়ের জামাই দুলাল হোসেনকে তিন লক্ষ টাকা দেওয়া হয় বিদেশ পাঠানোর জন্য । কথামত ২০২৪ সালের জানুয়ারী মাসে নাইমকে সৌদি আরব নিয়ে যাওয়া হয় এবং আকামা ও কাজের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়, কিছুদিন কাজ করার কাজ ভালো লাগেনা , কাজ করবেনা এসব বলে আসামীপক্ষকে টাকা ফেরত দিতে হবে হুমকি দিতে থাকে । আসামী পক্ষের মেয়ের জামাই জানায় তাকে কথা কাজ ও আকামা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে ।
এতে কফিল উদ্দিনের মেয়ের জামাই, বিদেশ পাঠানোর মধ্যস্থাতাকারী দুলাল তাকে জানান, ”বিদেশ পাঠানো এবং আকামা করে দেওয়া পরিপূর্ন ব্যবস্থাসহ সে পরিবারে নিয়মিত টাকা পাঠিয়ে বিদেশ বসবাস করছে যেখানে, সেখানে টাকা ফেরতের কথা কেন উঠবে ?সে যদি খারাপ অবস্থায় থাকে তাহলে দেশে চলে যাক,তখন আমি আমার এজেন্সির মাধ্যমে কিছু টাকা পয়সা ফেরত নিয়ে দিবো।”
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,মামলার বাদী মোঃ আমজাদ হোসেন মাষ্টারের ছেলে নাঈম সৌদি আরবের রিয়াদে ভালো আছেন ।সরেজমিনে জানা যায়, মামলার বাদী আমজাদ হোসেন মাষ্টার, সাবেক চেয়ারম্যান মনির হোসেন চৌধুরীসহ তার অর্থ লালসায় জড়িয়ে পড়া কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি বর্গের ছত্রছায়ায় তিনি হয়ে উঠে মামলাবাজ ।
মামলার সাক্ষী
এবং তার সঙ্গীয় জাকির হোসেন ও হানিফ ভূমি দস্যু এলাকার অর্থালোভী লোকদের সাহসীকতায়
তিনি হয়ে উঠেন আরো হিংস্র, চাঁদাবাজের কায়দায় বিভিন্ন ধরনের অন্যায়ভাবে আইনী হুমকি
দেওয়া সহ, আইনশৃংঙাখলা রক্ষাকারী বাহীনিকেও আয়ত্ববস করে ফেলেন মামলার বাদী আমজাদ হোসেন
মাষ্টারসহ তার সহচররা।
কিন্তু যার
সাথে সত্যতার কোনো প্রকারই মিল পাওয়া যায়নি ,অভিযোগটি পরিপূর্ণ ভাবে মিথ্যা যার সাথে
বৃদ্ধ কফিল উদ্দিনের কোনো প্রকার সাদৃশ্যতাই নেই।
চাঁদাবাজির
স্বার্থে এলাকার কিছু প্রভাবশালী লোকদের লোভ দেখিয়ে এধরনের মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে
বলে জানা যায় এলাকাবাসী থেকে। শুধু তাই নয় তদন্তরত অফিসারকেও অর্থালোভে রেখে পুরো
তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দেন আমজাদ মাষ্টার এবং
তার সহোচর।
এলাকাবাসী আরো জানায়,যে ব্যক্তিকে আসামীর প্রধান রূপ দেওয়া হয়েছে, সেই ব্যক্তি অর্থাৎ কফিল উদ্দিনের সাথে ঘটনার কোনো প্রকার সম্পৃক্ততা নেই। কেননা যেই এলাকায় লেন-দেনের ঘটনাটি ঘটেছিলো কুমিল্লা জেলার বি পাড়া উপজেলা শিদলাই ইউনিয়নের লাড়ুচৌতে, সেখানে কফিল উদ্দিনের জম্ম হলেও, ওই সময় হতে কফিল উদ্দিন আনুমানিক ১৫ বছর ধরে এলাকাতে থাকেনই না, তিনি কুমিল্লা দুর্গাপুর নামক এলাকাতে থাকেন।
লেনদেনের
ব্যপারটি যাদের সাথে ঘটে সে কফিল উদ্দিনের মেয়ের জামাই, অর্থাৎ কফিল উদ্দিনকে ফাঁসাতে
এক বড় ধরনের ঘটনা রটানো হয়, যে বিষয়ে কফিল উদ্দিন একদমই অবগত নন।
এমনকি যার বিদেশ যাওয়া নিয়ে ঘটনাটি, সে আজ ও বিদেশে আকামা নিয়ে দিব্যি শান্তিতে বসবাস করেছেন, প্রতিমাসে পরিবারে টাকা পঠাচ্ছেন , সে আজ প্রায় বছর খানিক সময় ধরে বিদেশ, তবে প্রশ্ন আসে তারা কেন টাকা দাবি করেন ? এমন প্রশ্নের উত্তরে সেই আমজাদ মাষ্টারের চক্র থেকে উত্তর আসে ওই তিন লক্ষের বিপরীতে দ্বিগুণ মূল্যের টাকার দাবী।
এ ব্যাপারে বাদী আমজাদ মাস্টার (৪৭) এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি । এই বানোয়াট তদন্তের ব্যপারে তদন্তরত এস আই শফিক উল্লাহর সাথে যোগাযোগ করেতে চাইলে, সে তার সাথে যোগাযোগকারীর থেকে নিজেকে আড়াল করে নেন, শুধু মাত্র তাই না তার ছবি,পরিচয় সমস্ত অনলাইন মাধ্যম থেকে মুছে তিনি গা ঢাকা দিয়ে থাকেন। তাকে অপরিচিত নাম্বার ফোন করা হলে সাংবাদিকের অবস্থা টের পেলেই সাথেসাথেই ব্লক করে দেন।
সাংবাদিকদের কফিল উদ্দিন (৮০) বলেন , আল্লাহ উত্তম পরিকল্পনাকারী ও আমি নির্দোষ আমাকে মিথ্যা বানোয়াট মামলায় ফাসানো হয়েছে আদালত অবশ্যই আমার ন্যায় বিচার করবেন সেই প্রত্যাশা করি ।