অধ্যক্ষের নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম ও দূণীতির বিষয়ে প্রভাষক মোঃ আরিফুল ইসলাম, আব্দুর রশিদ, সন্দিপ দাশ, পরেশ কুমার পাল, শহিদুল ইসলাম, পবন কুমার সরদার, সুমন কুমার সেন কিছুই জানেন না । তবে এমপিও ভূক্তি ও বেতন করানো সময় টাকা আদায়ের কথা অকপটে স্বীকার করেন তারা। সরকারি নিয়ম না মেনে অধ্যক্ষের তত্বাবধনে কলেজের গাছ কেটে শিক্ষকদের জন্য চেয়ার- টেবিল বানানো ও ভবনের ইট দিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য সাইক্লোন সেন্টারের নিচতলায় দুইটা রুম করা হয়েছে বলেও জানান তারা।

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মাগুরা আইডিয়াল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ রাম প্রসাদের বিরুদ্ধে দলীয় প্রভাব, নিয়োগ বাণিজ্য, অর্থ আত্মসাৎ, সেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দূর্ণিতীর অভিযোগ উঠেছে। কলেজে অনুপস্থিত থেকেও বেতন-ভাতা গ্রহণ করেছেন তিনি। প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, সাচিবিক পদে যোগদান করে বিভিন্ন কুট কৌশল ও সরকার দলীয় প্রভাব খাটিয়ে রাতারাতি কলেজের অধ্যক্ষ বলে যান এই সুচতুর রামপ্রসাদ দাস। প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত উপস্তিত না থেকে সেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে বেতন-ভাতা উত্তেলন, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা হাতানো, শিক্ষকদের উপর মানষিক নিপিড়ন সহ নানাবিধ অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।জালালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদের সুবাদে সাবেক এমপি এ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লার সাথে ছিল তার ঘনিষ্টত সাখ্যতা।দলীয় পদ ও সাবেক এমপির ঘনিষ্টতার প্রভাবে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্যর মাধ্যমে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। সরকারী নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে  সাইক্লোন সেন্টারের জায়গা দখল করে ক্লাসরুম বানিয়েছেন তিনি। সরকারী দলের নেতা হওয়ায় তার এ সকল অপরাধের প্রতিবাদ করতে পারেনি কেউ। এমনকি কলেজে উপস্থিত না হয়ে নিয়মিত দলীয় কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ তার নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। তার একাজে সহযোগীতা করেছেন তালা উপজেলা ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও অত্র কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক হিরণন্ময় মন্ডল।

বুধবার (২১ আগষ্ট) সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে এই অধ্যক্ষের অফিস কক্ষে তালা বদ্ধ দেখা যায়। অন্তবর্তি সরকার  গঠনের পর থেকে তিনি কলেজে আসছেন না, তবে অজ্ঞাতস্থান থেকে তিনি গত মাসের শিক্ষক কর্মচকারীদের বেতন বিলে স্বাক্ষর করেছেন  বলে জানা যায়।
অধ্যক্ষের নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম ও দূণীতির বিষয়ে প্রভাষক মোঃ আরিফুল ইসলাম, আব্দুর রশিদ, সন্দিপ দাশ, পরেশ কুমার পাল, শহিদুল ইসলাম, পবন কুমার সরদার, সুমন কুমার সেন কিছুই জানেন না । তবে এমপিও ভূক্তি ও বেতন করানো সময় টাকা আদায়ের কথা অকপটে স্বীকার করেন তারা। সরকারি নিয়ম না মেনে অধ্যক্ষের  তত্বাবধনে  কলেজের গাছ কেটে শিক্ষকদের জন্য চেয়ার- টেবিল বানানো ও ভবনের ইট দিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য সাইক্লোন সেন্টারের নিচতলায় দুইটা রুম করা হয়েছে বলেও জানান তারা।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক শেখ জহুরুল হক জানান, অধ্যক্ষ নিয়োগের সময় তারা প্রতিবাদ করলেও সভপতিকে ম্যানেজ করে কৌশলে নিজের নিয়োগ সম্পন্ন করেন তিনি। এরপর বিভিন্ন সময় শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের সময় প্রতি প্রার্থীর কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন এই অধ্যক্ষ। এমপিও ভূক্তির পরে টাকার হিসাব দেয়ার কথা থাকলেও তিনি এখন পর্যন্ত কোনো হিসাব দেননি।

এবিষয়ে অধ্যক্ষ রামপ্রসাদ দাসের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এসময় তার হোয়াটস অ্যাপ  নাম্বারে মাসেজ পাঠালে তিনি জানান,   গত তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ষ্টাটাস দিয়ে রাজনীতি ছেড়েছি। একটি মহল আমাকে ও আমার পরিবারকে ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। আমার প্রতিষ্টানে ৩৪ জনের বেতন হয়েছে।  আমার হাত দিয়ে কখনো কাহারো উপকার ছাড়া ক্ষতি হয়নি। আশা করি ন্যায় বিচার পাব।