ফুলগাজী উপজেলায় ১৮ টি ইটভাটার মধ্যে কাগজপত্র হালনাগাদ না থাকায় ৮টি অবৈধ। বন্ধ রয়েছে ৪টি এবং বৈধভাবে ৬টি ইটভাটা পরিচালিত হচ্ছে। ফেনী পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোসাম্মাৎ শওকত আরা কলি জানান, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী অবৈধ ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হবে। দুই-তিন বছর পূর্বে আবেদিত ইটভাটার নবায়ন প্রক্রিয়াধীন। এদিকে গত বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালিয়ে আনন্দপুর ইউনিয়নের বিসমিল্লাহ ব্রিকস এর বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন ও চুল্লীতে পানি ঢেলে অগ্নি নির্বাপণ করে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। একই দিন অভিযান পরিচালনা করে ইটভাটা স্থাপন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকায় জিএমহাট ব্রিকস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার (১০ ফেব্রুয়ারি) আনন্দ অটো ব্রিকস-এ সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর হোসাইন অভিযান পরিচালনা করে ৭ লাখ টাকা জরিমানা করেন। উল্লেখ্য, পরিবেশ অধিদপ্তরের নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১ কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন করা নিষিদ্ধ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি ইটভাটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩'শ -১ হাজার মিটারের মধ্যে রয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বলেন, আইনের কড়াকড়ি আরোপে ইটভাটা নবায়ন বন্ধ রয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাশিয়াত আকতার বলেন, ২০১৩ সালের প্রণীত ও ২০১৯ সালের সংশোধিত আইনের আওতায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া এলাকায় ইটভাটা স্থাপন পরিবেশের প্রতি হুমকি। বিদ্যমান আইনে প্রায় এক যুগ কীভাবে এসব এলাকায় ইটের প্রস্তুতি চলছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমানে চলমান আইনে অভিযান পরিচালনা করা হবে।