ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, ক্ষমতায় থেকে সংস্কারের প্রতিশ্রুতি জনগণ আর বিশ্বাস করে না। জনগণের দাবি, আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন। এ দেশে অতীতের সরকারগুলো ক্ষমতায় গিয়ে সংস্কারকে গুরুত্ব দেয়নি। বর্তমান পরিস্থিতিতে, একটি শক্ত ভিত্তি তৈরি করতে হবে, যাতে ভবিষ্যৎ সরকার সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা ও বিচার বিভাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে পারে।
শুক্রবার বাগেরহাট স্বাধীনতা উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলা শাখার দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আমরা ফ্যাসিবাদের অবসান ঘটিয়েছি, কিন্তু এখন ঐক্য ভেঙে গেছে সংস্কার ও নির্বাচন ইস্যুতে। ফ্যাসিবাদের জায়গাগুলো দখল করেছে অন্য একটি দল। এমনকি আলেমদের সাথেও বিভিন্ন স্থানে খারাপ আচরণের খবর আসছে।”
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাগেরহাট জেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা মাহফুজুর রহমান এবং সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা সেক্রেটারি মাওলানা মোশাররফ হোসাইন। বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, জেলা সহ-সভাপতি মাষ্টার মাকবুল হোসেন, এইচ এম সাইফুল ইসলাম, ফকির শহিদুল ইসলাম, জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওলানা ফারুক হোসেনসহ দলটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।সম্মেলন শেষে ২০২৫-২৬ সেশনের জন্য হাফেজ মাওলানা মাহফুজুর রহমানকে সভাপতি এবং হাফেজ মাওলানা মোশাররফ হোসাইনকে সেক্রেটারি করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
বক্তারা আরও বলেন, “দেশে ইতিপূর্বে জনপ্রিয় নেতৃত্ব তৈরি হলেও জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণ না হওয়ায় সেই জনপ্রিয়তা স্থায়ী হয়নি। ক্ষুধার্ত জনগণের সমর্থন কোনো সরকারই পাবে না। ভবিষ্যতে আদর্শিক ও নৈতিক শিক্ষার অভাব থাকলে দেশের সংকট দূর হবে না। শুধু সংবিধান পরিবর্তন করেও সুফল আসবে না।”
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এ সম্মেলন থেকে সংস্কারের গুরুত্ব এবং আদর্শিক নেতৃত্ব গঠনের প্রয়োজনীয়তার বার্তা তুলে ধরা হয়েছে। নতুন কমিটি নেতৃত্বের এ বার্তাকে এগিয়ে নিতে সচেষ্ট থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন নেতারা।