বাগেরহাট জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক কে.এম. সাকিবের ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে মোরেলগঞ্জ উপজেলার ঘষিয়াখালী-মল্লিকেরবেড় খেয়াঘাট এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় সাকিবকে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাকিব জানান, ঘটনার সময় তিনি ঘষিয়াখালী-মল্লিকেরবেড় খেয়াঘাটে ছিলেন। রাতে কিছু লোক ঘষিয়াখালি থেকে মল্লিকের বেড় যাওয়ার জন্য খেয়াঘাটে আসলে ট্রলার মালিকরা তোদের বলেন জাহিদ ট্রলার চালাতে নিষেধ করেছে। এ বিষয়ে জানতে গেলে জাহিদের লোকজন আমার উপর হামলা করে। হামলাকারীদের মধ্যে ছাত্রদল নেতা সাওন, রনি, সবুজ, তুহিন, মারজান ও মো. রাফি ছিল বলে তিনি দাবি করেন। হামলায় তার মাথা ফেটে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত লাগে।
সাকিবের অভিযোগ, ঘাটটি দীর্ঘদিন ধরে দখল করে চাঁদাবাজি চালাচ্ছে একটি প্রভাবশালী মহল। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করায় এর আগেও তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক এস.এম. সাদ্দাম বলেন, “এ ধরনের হামলা নিন্দনীয়। আমরা হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।”
এদিকে, ঘাটের দায়িত্বে থাকা জাহিদুল ইসলাম দাবি করেন, ঘটনার পেছনে অন্য কারণ রয়েছে। তিনি বলেন, “সাকিব যুবদল নেতা জাহিদকে গালিগালাজ করায় ছাত্রদলের ছেলেরা ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে মারধর করেছে।”
বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক অসীম কুমার সমাদ্দার জানান, সাকিবের অবস্থা এখন অনেকটাই স্থিতিশীল। তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল হাসান জানান, অভিযুক্তদের আটক করতে অভিযান শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত বেশিরভাগের বাড়ি রামপাল উপজেলায় হওয়ায় কাজ করত একটু বেগ পেতে হচ্ছে। তবে সাকিবের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা করা হয়নি।