“নতুন দিনের নতুন নতুন জীবন গড়ি জরাজীর্ণ, সাম্প্রদায়িকতা ভুলে সম্প্রীতির হাত ধরি ” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় সকল সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে সম্প্রীতির মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুভ নববর্ষ (পহেলা বৈশাখ ১৪৩১) উদযাপিত হয়েছে।

“নতুন দিনের নতুন নতুন জীবন গড়ি জরাজীর্ণ, সাম্প্রদায়িকতা ভুলে সম্প্রীতির হাত ধরি ” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় সকল সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে সম্প্রীতির মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুভ নববর্ষ (পহেলা বৈশাখ ১৪৩১) উদযাপিত হয়েছে।

১৪ এপ্রিল (রবিবার) সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা প্রশাসন কার্যালয় থেকে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ বরণে এক বর্ণাঢ্য সম্প্রীতির মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়।

এ উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৮.৩০ টায় উপজেলা পরিষদ চত্বর হতে বর্ণীল সাজ-সজ্জায় সজ্জিত হয়ে মঙ্গল শোভা যাত্রা বের করা হয়। শোভা যাত্রাটি উপজেলার গুরুত্বপুর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসে শেষ হয়। শোভা যাত্রা শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরীন আক্তার।
এ সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কাইয়ুম, বাঘাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ ইশতিয়াক আহমেদ, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বাঘাইছড়ি উপজেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলী হোসেন। শোভাযাত্রা ও আলোচনায় আরো অংশ গ্রহণ করেন উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন স্কুল -কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সুধিজন সহ গণমাধ্যম কর্মীগণ ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যবৃন্দ। বক্তব্যে অতিথিরা বলেন, অতীতে বাংলা নববর্ষের মুল উৎসব ছিল হালখাতা। গ্রামে- গঞ্জে ব্যবসায়ীরা নববর্ষের শুরুতে তাদের পরোনো হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করে নতুন হিসাবের খাতা খুলতেন।

এ উপলক্ষে তারা নতুন-পুরাতন খদ্দেরকে আমন্ত্রণ জানিয়ে মিষ্টি বিতরণ করতেন। এবং নতুন ভাবে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়ীক যোগ সুত্র স্থাপন করতেন। চিরাচরিত এ অনুষ্ঠানটি আজও পালিত হয়। আমাদের মহান স্বাধীনতার পর ধীরে ধীরে এই উৎসব নাগরিক জীবনে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে। পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বাঙ্গালীর অসাম্প্রদায়িক এবং গণতান্ত্রিক চেতনার বহি:প্রকাশ ঘটতে থাকে।

পরে আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।