বরিশালের হিজলা ও মুলাদী সীমান্তবর্তি নয়াভাঙ্গলী নদীতে বছরের পর বছর অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে রমরমা বানিজ্যে। দুই উপজেলার প্রশাসনের রহস্যজনক অভিযানে হতাশা প্রকাশ করে দুই দুই পাড়ের নদী ভাঙ্গন এর হুমকির মুখের মানুষ।

বরিশালের হিজলা ও মুলাদী সীমান্তবর্তি নয়াভাঙ্গলী নদীতে বছরের পর বছর অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে রমরমা বানিজ্যে। দুই উপজেলার প্রশাসনের রহস্যজনক অভিযানে হতাশা প্রকাশ করে দুই দুই পাড়ের নদী ভাঙ্গন এর হুমকির মুখের মানুষ।

জানাযায় নয়াভাঙ্গলী নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের কোটি টাকা ব্যায়ের পাকা রাস্তা ও বেড়িবাধ ভেঙ্গে যায়। এতে হুমকির মুখে পড়ে তিন গ্রামের মানুষ। স্থানীয় সাধারন জনগন মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে প্রশাসনের কাছ থেকে কোন প্রতিকার পাইনি।এ সংবাদে স্থানীয় সাংসদ পংকজ নাথ সরোজমিনে যায়।সেখানে তিনি নয়াভাঙ্গলী নদীতে অবৈধ বালু খেকোদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে নিদের্শনা দেন।দুই উপজেলার সীমান্তবর্তি হওয়ায় প্রশাসনের উদাসীনতায় অবৈধ ড্রেজার দিয়ে নিয়মিত ভালু উত্তোলন হচ্ছে।গত শুক্রবার সকালে নয়াভাঙ্গলী নদী থেকে একটি বালু কাটার ড্রেজার ও একটি বালহেড সহ ৪ জনকে আটক করেন। কিন্তু চারজনের মধ্যে একজনের নাম আসে বাকি তিনজন এর নাম এখনো প্রকাশ পায়নি।

অভিযানে স্থানীয়দের মাঝে স্বস্তি দেখা গেলেও যখন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুধু জরিমানা করে ছেড়ে দেয়ায় আবারো হতাশ ভাঙ্গন কিনারার মানুষ।সকাল ৯ টায় অভিযান করে আটককৃত ড্রেজার ও শ্রমিকদের নিয়ে দিনভর চলে দেন দরবার।বালু উত্তোলনের নেতৃত্বে থাকা মুলাদী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল হাওলাদার জানায় আমরা মুলাদী অংশে বালু উত্তোলন করি। হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাদের হিজলা মনে করে আটক করেছে। পরে বিষয়টি মীমাংশা হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুদীপ্ত সিংহ জানায় অবৈধভাবে নদীতে বালু উত্তোলনের সংবাদ পেয়ে ঘটনা স্থানে গিয়ে ড্রেজার ও বালহেড আটক করি।
আটককৃত ট্রেজার ও বালহেড বালুও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন -২০১০ অনুসারে  একলক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।স্থানীয় বলছে ড্রেজার আটক করে কোন লাভ হয়নি জরিমানার টাকা দিয়ে ওই রাতে আবার শুরু করেছে বালু উত্তোলনের কাজ। কেনই বা করবে না প্রতিদিন কমপক্ষে পাঁচ থেকে সাত লক্ষ টাকা অবৈধভাবে উপার্জন হচ্ছে।