রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও রুয়েট অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সদস্য রাজিব মাহমুদ কর্তৃক বিশ্বনবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন রুয়েটের শিক্ষার্থীরা। শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাত ১০টায় রুয়েট লাইব্রেরি প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। বিক্ষোভে “বিশ্বনবীর অপমান, সইবেনারে মুসলমান”; “বিশ্বের মুসলিম, এক হও লড়াই কর”; প্রভৃতি স্লোগান দেওয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের বিক্ষোভ মিছিল পালন করেন এবং মিছিল শেষে সকলে জমায়েত হয়ে ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো;
১. এস. আর. মাহমুদকে রুয়েট থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করতে হবে।
২. অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠন করতে হবে।
৩. রুয়েট প্রশাসন থেকে এ ঘটনায় স্পষ্ট বিবৃতি প্রদান করতে হবে।
৪. এস. আর. মাহমুদের অবস্থান প্রকাশ এবং যথাযথ ব্যাখ্যা দিতে হবে; ব্যর্থ হলে তার সনদ বাতিল করতে হবে।
৫. এস. আর. মাহমুদসহ সকল শাতিমদের বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষ থেকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৬. সংবিধানে নবী অবমাননাকারীদের (শাতিম) বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড আইন প্রণয়ন করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা রাসুল (সা.)-কে মানবতার দূত, হৃদয়ের স্পন্দন এবং কলিজার টুকরো উল্লেখ করে আবেগাপ্লুত হয়ে তাঁর অপমানের কড়া জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তারা আরও বলেন, “আমরা এখানে উপস্থিত হয়েছি আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য। আমরা চাই উক্ত ব্যক্তির যথাযথ আইনি বিচার নিশ্চিত হোক এবং ভবিষ্যতে কোনো কুলাঙ্গার যেন রাসূলের নামে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার সাহস না পায়, সেই বার্তা দিচ্ছি।”
প্রসঙ্গত রাজিব মাহমুদ রুয়েট মেকানিক্যাল বিভাগের ২০১০-১১ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে রুয়েট অ্যালামনাই গ্রুপে তিনি বিশ্বনবী (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করেন। তার এই মন্তব্যের প্রতিবাদ জানালে গ্রুপের অ্যাডমিন প্রতিবাদকারীদের গ্রুপ থেকে সরিয়ে দেন। এই ঘটনায় রুয়েটের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ এবং উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।