দেশের অন্যতম বড় প্রতিষ্ঠান বিকাশ লিমিটেডের সাথে তিন বছরের দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করেও একটি টাকাও পাননি ফারবোট রোবটিক্স-এর প্রতিষ্ঠাতা। এ ঘটনায় ধ্বংস হয়েছে দেশের সম্ভাবনাময় এই স্টার্টআপটি। ২০২১ সালে বিকাশ লিমিটেডের একটি প্রতিনিধি দল প্রথমে যোগাযোগ করে এবং একটি কাস্টমার কেয়ার রোবট তৈরির প্রস্তাব দেয়। প্রতিষ্ঠানের আশ্বাস এবং বড় পরিকল্পনার ফাঁদে পড়ে ফারবোট রোবটিক্স প্রতিষ্ঠানটির হয়ে কাজ করে গেছে নিরলসভাবে। তবে প্রতিটি ধাপে ডাউন পেমেন্টের অনুরোধ সত্ত্বেও তারা প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাজ করিয়ে নেয়।প্রায় ৩.৫ গিগাবাইটের প্রজেক্ট ফাইলসহ অত্যন্ত জটিল এই গবেষণা প্রকল্পে মেশিন লার্নিং, ডেটা অ্যানালাইসিস, প্যারালাল কম্পিউটিং এবং রোবটিক্স-এর মতো উচ্চতর প্রযুক্তির ব্যবহার ছিল। রাত-দিন পরিশ্রমের পর, শারীরিক অসুস্থতা উপেক্ষা করেও প্রতিষ্ঠাতা একের পর এক কাজ সম্পন্ন করেন। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রজেক্টের কাজ দেখানোর পর বিকাশের সিএমও বিল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। পরে নতুন বাজেট তৈরি করে জমা দেওয়া হলেও বিকাশ কর্তৃপক্ষ অ্যাডভান্স পেমেন্ট দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। ৩ বছরের বিনা পারিশ্রমিকে কাজ, গবেষণা প্রকল্পের বিশাল ব্যয় এবং ক্লায়েন্টের চাপ ফারবোট রোবটিক্সকে অর্থনৈতিকভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। ফারবোট রোবটিক্স-এর প্রতিষ্ঠাতা তার করুণ অভিজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, "যে কোম্পানি বছরে ২৫ বিলিয়ন রেভিনিউ করে, তারা একটি স্টার্টআপের সাথে এমনটা করলো। আমি চাই না, দেশের আর কোনো স্টার্টআপের সঙ্গে এমন অন্যায় হোক।" এই ঘটনার প্রেক্ষিতে দেশের প্রযুক্তি খাতে বড় কোম্পানিগুলোর আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জোরালো হয়েছে।