বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ মিছিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টায় ভাঙ্গা দক্ষিণপাড় বাসস্ট্যান্ড থেকে আনন্দ মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ভাঙ্গা গোলচত্বর এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব খন্দকার ইকবাল হোসেন সেলিম।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল।
শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, “বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজ কোটি মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। বিগত আওয়ামী লীগের ১৭ বছরের শাসনামলেও বিএনপির আদর্শের বিন্দুমাত্র ক্ষতি করতে পারেনি। দেশের কোটি কোটি মানুষ বিএনপির পতাকাতলে সমবেত হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “২০০১ সালের পর থেকে দেশে কোনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়নি। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। যদি কোনো ষড়যন্ত্র হয়, তবে আমরা তা প্রতিহত করব—নির্বাচন আদায় করেই ছাড়ব। আমরা মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি, মৃত্যু দেখিয়ে আমাদের দমানো যাবে না।”
এ সময় শহিদুল ইসলাম বাবুল তাঁর বক্তব্যে বলেন, আরোও বলেন “সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে, ভাঙ্গা উপজেলার তিনটি ইউনিয়নকে আলাদা করা হবে। এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের চেষ্টা করলে আমরা তা প্রতিহত করব। প্রয়োজনে মানববন্ধন ও রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।”
তিনি জানান, এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার পুখুরিয়া বাসস্ট্যান্ডে বিএনপির নেতাকর্মীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবেন।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব মোল্লা বলেন ১২ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে ভাঙ্গা উপজেলা গঠিত, ইদানিং ফেসবুকের মাধ্যমে একটি খবর ছড়িয়ে পড়েছে,,ভাঙ্গা উপজেলা থেকে তিনটি ইউনিয়ন কেটে নগরকান্দা উপজেলার সাথে সংযুক্ত করা হবে। যদি এমন কোন ঘটনা ঘটে তাহলে আমরা ভাঙ্গা উপজেলার মানুষ তীব্র প্রতিবাদ গড়ে তুলবো প্রয়োজনে ভাঙ্গা উপজেলা ১২ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার লোকজন নিয়ে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। তিনি সংগঠনের ভাঙ্গা উপজেলার সকল তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন,
আপনারা সকলেই সংগঠনের জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি জনগণের কল্যাণে কাজ করে, এটা বহু আগেই প্রমাণিত হয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি গণমানুষের দল এই দল কখনো অন্যায় সহ্য করবে না, কখনো নিজেরা অন্যায় করবে না। আপনারা তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মী আপনাদের সকল বিপদে আপদে আমরা আপনাদের পাশে থাকব।
আপনার আপনাদের যে কোন প্রয়োজনে আমাদের ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপি অফিসে আসবেন আমরা দলকে
সু-সংঘটিত করার জন্য আপনাদের যেকোনো পরামর্শ সাদরের গ্রহণ করব।
ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইকবাল হোসেন সেলিম বলেন, ভাঙ্গা সদরপুর চরভদ্রাসন বিএনপির দূঃসময়ে যেভাবে আপনাদেরকে বুকে আগলে রেখেছি বাকি জীবনেও আপনাদের পাশে থাকব, আপনাদের আপদে বিপদে যেকোনো সময় আমাকে ডাক দিলে আপনারা পাশে পাবেন, এখন থেকে ভাঙ্গায় বিএনপি করবেন ন্যায় নিষ্ঠার সাথে বুক উঁচু করে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনারা ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিবেন বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা জনাব তারেক রহমান অচিরেই দেশে ফিরে আসবে যেদিন তারেক রহমান দেশে ফিরে আসবে সারা বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ আনন্দে আত্মহারা হবে। আমাদের সৌভাগ্য আমরা ভাঙ্গা উপজেলায় সর্বকালের একজন শ্রেষ্ঠ নেতা কে পেয়েছি যিনি শহিদুল ইসলাম বাবুল তার রাজনৈতিক জীবনে কোন অন্যায় অত্যাচার নেই তিনি মানুষের রাজনীতি করেন জনকল্যাণে রাজনীতি করেন, তাই আপনারা আগামী সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে শহিদুল ইসলাম বাবুল ভাইকে বিজয় করবেন আজকের এই প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আনন্দ ঘণমুহুর্তে আমরা শপথ করতে চাই শহিদুল ইসলাম বাবুল ভাইয়ের বিকল্প নাই।
এ সময় তিনি আরো বলেন একটি কথা কানে এসেছে ভাঙ্গা উপজেলা থেকে তিনটি ইউনিয়ন আলগি হামিরদি মানিকদি এই তিনটি ইউনিয়ন ভাঙ্গা উপজেলা থেকে কেটে নগরকান্দায় নেয়ার জন্য যে ষড়যন্ত্র চলেছে । আমরা তা কঠোর হস্তে প্রতিবাদ করব ইনশাআল্লাহ। আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন আমরা ১২ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা থেকে কখনোই এক ইঞ্চি মাটিও আলাদা হতে দিব না। এই কথা বলেই তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপির , যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফজলেস সোবাহান শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বিটু, যুগ্ম সম্পাদক সাঈদ মুন্সীসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আলোচনা সভা শেষে শহিদুল ইসলাম বাবুলের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আনন্দ মিছিলে হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করে।