ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৪জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর  ইউনিয়নের সরইবাড়ী গ্রামে সোমবার(১০ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে  ৮টা পর্যন্ত ২ ঘন্টা ব্যাপী  এ সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষে  ১২ জনকে আহত অবস্থায় ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে এলাকায় এক প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, তুজারপুর ইউনিয়নের  সরইবাড়ি গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে  'তালুকদার গ্রুপ ' ও ' খান গ্রুপের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। '  তালুকদার পক্ষের নেতৃত্ব দেন সরইবাড়ি গ্রামের বাবুল তালুকদার (৭০) ও খান পক্ষের নেতৃত্ব দেন সরইবাড়ি গ্রামের কবির খান (৫৫)। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে সোমবার সকাল  ৬ টার দিকে শুরু হয়ে সকাল  ৮ টা পর্যন্ত  ২ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলে।  দুই পক্ষের কয়েকশত লোক রামদা, ঢাল, সরকি, ইট, পাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। গত কয়েক দিন পূর্বে পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। সোমবার সকালে পূর্বের ঘটনার জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গুরুতর আহত ৪ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এরা হলেন  হাসমত হাওলাদার (৬৫), আবুল হোসেন মাতুব্বর(৬০), লতিফ হাওলাদার (৬০) ও রাজু চৌধুরী (২৯)। ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন  জুবায়ের হাওলাদার (৩২), পান্নু মাতুব্বর (৫০), ওবায়দুর রহমান (৪০), রসমত হাওলাদার (৪৪), আবু জাফর হাওলাদার, রুবেল চৌধুরী (৩৫), মিন্টু খান (৪৪), নাসির চৌধুরী (৪৪), শরীফ খান (২৭), রফিক চৌধুরী (২৭), রুবেল হাওলাদার (৩৫), ইয়াসিন (২৩)। ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোকছেদুর রহমান বলেন, জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে তুজারপুর ইউনিয়নের সরইবাড়ি গ্রামে তালুকদার ও খান পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এলাকায় এক প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখনো কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি। পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।