কিশোরগঞ্জের ভৈরবে শীতলপাটি নদী থেকে বাংলা ড্রেজারে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করায় শ্রীনগর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য সেলিম মিয়ার বিরুদ্ধে তুলেছেন এলাকাবাসী। বেশকিছু দিন যাবত সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদী থেকে এভাবেই বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে একটি চক্র।

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে শীতলপাটি নদী থেকে বাংলা ড্রেজারে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করায় শ্রীনগর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য সেলিম মিয়ার বিরুদ্ধে তুলেছেন এলাকাবাসী। বেশকিছু দিন যাবত সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদী থেকে এভাবেই বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে একটি চক্র।

এলাকাবাসী জানায়, পৃর্বপাড়া মুন্সিবাড়ি ও বধুনগর গ্রামের মাঝখানে শীতলপাটি নদী থেকে অপরিকল্পিত ভাবে বালু উত্তোলনের কারণে নদীতে ব্যাপক ভাঙনের সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও ভাঙ্গণের মুখে রয়েছে নদীতীরবর্তী বধুনগর ও শ্রীনগর পূর্বপাড়া গ্রামের বিভিন্ন স্থাপনা, বসতি ও কৃষিজমি। এভাবে বালু উত্তোলন করতে থাকলে অচিরেই অত্র অঞ্চলের বড় দুটি গ্রাম ভেঙ্গে নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে। 

এলাকাবাসী আরো জানায়, শ্রীনগর গ্রামে বন্ধু মহল নামে একটি সংগঠন তৈরি করে এর সভাপতি তারা মিয়া। তারই নেতৃত্বে শ্রীনগর ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আওয়ামীলীগে যোগদান করে। যোগদানের পর থেকেই দলের প্রভাব খাটিয়ে এসব কর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে সাধারণ মানুষের কাছে বর্তমান ক্ষমতাশীন দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন উদ্যোগ নেয়া অতীব জরুরি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সেলিম মিয়া বলেন, গত পরশু দিন যাবত বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। শ্রীনগর ইউপি পরিষদ চেয়ারম্যান নিষেদ করায় বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছি।

অপর অভিযুক্ত বন্ধু মহলের সভাপতি তারামিয়া মুঠোফোনে বলেন নদীতীরবর্তী শীতলপাটি নদী থেকে যার যার বাড়ি নির্মাণের জন্য জমিতে ফেলা হচ্ছে। এর পুরোটাই ৮ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য সেলিম মিয়ার নেতৃত্বে হচ্ছে। বি আই ডব্লিউ টি এ, এর কর্মকর্তা ফয়সুল আলমের  ভাই মিজানুর রহমান জুয়েল মিয়াকে সাথে নিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।  

শ্রীনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন অর রসিদ বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। উপজেলা নির্বাহী অফিসারে ফোন পেয়ে আমি তাৎক্ষণিক লোক পাঠিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধের ব্যবস্থা করি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাকিলা বিনতে মতিন এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, এমনটা আমি জানার পর বালু উত্তোলন বন্ধ করতে ঘটনাস্থলে লোক পাটানো হয়েছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেউ নদী থেকে বালু উত্তোলন করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।