ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার চর মোজাম্মেল, চর জহিরউদ্দিন ও সুইস গেইট এলাকায় গত কয়েক দিনের প্রবল জোয়ারে বেশ কয়েকটি বেড়িবাঁধ ভেঙে আশেপাশের বিস্তীর্ণ জনপদ প্লাবিত হয়েছে। এর ফলে নিম্নাঞ্চলের শত শত পরিবারের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। অনেক জায়গায় কাঁচা ঘরবাড়ি ও সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
বন্যার পানিতে পুকুরের মাছ, হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষকের পাকা ধান, শাকসবজি ও অন্যান্য ফসলের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়ে গেছে। স্থানীয়রা জানান, বন্যায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে।
এই সংকটময় পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কন্টিনজেন্ট দ্রুত সেখানে পৌঁছে স্থানীয় জনগণ ও স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতায় ভেঙে যাওয়া বাঁধগুলো মেরামতের কাজ শুরু করে। বাঁধ দ্রুত মেরামত হওয়ায় প্লাবিত এলাকার পানির চাপ কিছুটা কমে আসে, ফলে বড় ধরনের ক্ষতি থেকে মানুষ রক্ষা পায়। পাশাপাশি, নৌবাহিনী বন্যাকবলিত অসহায় মানুষের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করে তাদের দুর্দশা কিছুটা লাঘব করে।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল হালিম বলেন, “নৌবাহিনী না আসলে আমরা দিশেহারা হয়ে পড়তাম। ওরা খুব তাড়াতাড়ি বাঁধ মেরামত করেছে আর আমাদের খাবার দিয়েছে। এজন্য ওদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।”
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাংলাদেশ নৌবাহিনী সবসময় ত্রাণ, চিকিৎসা ও উদ্ধার কার্যক্রমে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণ হলো যে, মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়াতে নৌবাহিনী সদা প্রস্তুত।