নিহত রাকিব শিবচর উপজেলার শিরুয়াইল ইউনিয়নের চরশ্যামাইল গ্রামের নাসির মাদবরের ছেলে। তিনি সরকারি বরহামগঞ্জ কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন রাকিব। সম্প্রতি আদালত থেকে জামিন পেয়ে এলাকায় এসেছিলেন তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, চরশ্যামাইল গ্রামের আবুল কালাম সরদারের লোকজনের সঙ্গে রাকিবদের লোকজনের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত ৬ মে তাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের হামলায় আবুল কালাম সরদারের ছেলে ইবনে সামাদ মারা যান। পরে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় জেল খেটে সম্প্রতি আদালত থেকে জামিন নিয়ে এলাকায় আসেন রাকিব। রোববার রাতে শিবচর পৌর বাজারের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। এ সময় ৪/৫ জনের একটি অস্ত্রধারী দল ধারালো অস্ত্র দিয়ে রাকিবের ওপর হামলা চালায়। তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাকিবের মৃত্যু হয়।
মাদারীপুরের শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম বলেন, কয়েক মাস আগে ইবনে সামাদ হত্যা মামলার আসামি ছিলেন রাকিব। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
উল্লেখ্য, গত ৬ মে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উপজেলার চরশ্যামাইল সরদারকান্দি এলাকার আবুল কালাম সরদারের ছেলে ইবনে সামাদকে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষের লোকজন। ২১ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার পর ঢাকা মেডিকেলে মারা যান ইবনে সামাদ। ইবনে সামাদ হত্যা মামলার আসামিদের একজন রাকিব। তিনি সম্প্রতি জামিনে বের হন। আজ প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে পরিবারের লোকজন দাবি করেছে।