বলা হয়েছে, এই মিশন তিন বছর ধরে সরকারি সংস্থাগুলোকে প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা দেবে এবং দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে। তবে এই ঘোষণার পর থেকেই জনমনে নানা প্রশ্ন ও শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পশ্চিমা ধাঁচের মানবাধিকার ধারণা ইসলামী মূল্যবোধের সাথে মৌলিকভাবে সাংঘর্ষিক। মতপ্রকাশের নামে ধর্ম অবমাননাকে বৈধ করা, অশ্লীলতা এবং সামাজিক শৃঙ্খলা বিনষ্টকারী নানা নীতি ইসলামী সমাজে গ্রহণযোগ্য নয়। ফলে জাতিসংঘের মিশন কতটা ধর্মীয় ও সামাজিক নীতি মেনে চলবে, তা নিয়ে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে।
এ নিয়ে সাধারণ মানুষের অনেকে বলছেন, এই মিশনের আড়ালে দেশে নারীবাদ, সমকামীতা ও অশ্লীলতার মতো ইসলামবিরোধী কার্যক্রমকে বৈধতা দেওয়া হতে পারে এবং সেগুলো সমাজে সহজলভ্য ও স্বাভাবিক করে তোলার চেষ্টা চলতে পারে। তাদের আশঙ্কা, এভাবে দেশের পারিবারিক ও সামাজিক শৃঙ্খলা নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
জনগণের আরেকটি অভিযোগ, সরকার চুক্তির আগে বিষয়টি নিয়ে কোনো আভাস দেয়নি বা জনসমক্ষে কিছু জানায়নি। ফলে জনগণ জানে না এই চুক্তির শর্ত কী এবং এর মাধ্যমে দেশের ধর্মীয় ও সামাজিক নীতির সাথে সাংঘর্ষিক কোনো কার্যকলাপ হতে পারে কি না। এই অজ্ঞতা থেকেই জনমনে শঙ্কা—জাতিসংঘের মিশন কতটা দেশের মূল্যবোধ মেনে চলবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করা অবশ্যই একটি ইতিবাচক উদ্যোগ। তবে সেটি যেন দেশের ধর্মীয় ও সামাজিক শিকড়কে উপেক্ষা করে কোনো বিদেশি এজেন্ডা বাস্তবায়নের পথে না যায়, সেই সতর্কতা জরুরি হয়ে পড়েছে। কোনো বিদেশি মিশন যেন দেশের উপর শর্ত চাপিয়ে দেওয়ার হাতিয়ার না হয়ে ওঠে, সেদিকে সরকারকে সজাগ থাকতে হবে।