টঙ্গী ইজতেমার ময়দানে রাতের আঁধারে সাদপন্থীদের হামলায় চারজন নিহত এবং তাবলীগ জামাতের শত শত ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা আহত হয়। এটি একটি পরিকল্পিত হামলার ঘটনা বলে মনে করেন দেশের তাওহিদী জনতা। এর ফলে এ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে মানিকগঞ্জ জেলা সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যা দেশজুড়ে একটি ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। সাদপন্থীদের এমন কর্মকান্ডে ফুঁসে ওঠে দেশের আলেম-ওলামা সহ ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা। তারই প্রেক্ষিতে মানিকগঞ্জে সাদপন্থীদের নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের আয়োজন করে মানিকগঞ্জ জেলার ওলামায়ে কেরাম ও তাওহিদী জনতা। এতে স্বাক্ষর করে আলেম-ওলামা সহ শত শত ধর্মপ্রাণ সাধারণ মুসল্লী।
স্মারকলিপি প্রদান শেষে তারা একটি মিছিল বের করে যা শহরের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে বিজয় মেলার মাঠে এসে উপস্থিত হয় এবং সেখানে ওলামায়ে কেরাম বক্তব্য রাখেন। তারা বক্তব্যে বলে, যারা রাতের আঁধারে ঘুমন্ত মুসলমানদের হত্যা করতে পারে তারা কখনো ইসলাম প্রচার করতে পারে না। নিশ্চয়ই এটি একটি বর্বর পৈচাশিক ঘটনা। অনতিবিলম্বে তাদের নিষিদ্ধ এবং বিচারের দাবি জানান তারা। শরিফুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, আমি আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে এখানে এসেছি এতে আমার ব্যবসার ক্ষতি হবে। তবে সাদপন্থীদের বিচার এবং নিষিদ্ধ না করলে দ্বীনের ক্ষতি আরো অনেক বেশি হবে। ওমায়ের হোসেন নামে এক তাবলীগের সাথে বলেন, সাদপন্থীদের এরকম জঘন্য কর্মকান্ডের কারণে তাদের নিষিদ্ধ করা এখন সময়ের দাবি। কিছুদিন পূর্বে মাওলানা ইলিয়াস হোসাইন নামের এক ইমামকে সাদপন্থী জামাত মসজিদের ঢুকতে নিষেধ করায় তাকে মসজিদ থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছিল বলে খবর পেয়েছি। সাধারণ মুসল্লিরা চায় একটি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান হোক।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মানিকগঞ্জ জেলার বরেণ্য ওলামায়ে কেরাম সহ অনেকেই। তারা মনে করেন অতি দ্রুত সাদপন্থীদের নিষিদ্ধ এবং বিচারের আওতায় আনবে সরকার, যা সারা দেশের এ সংকট কাটিয়ে শান্তি ফিরিয়ে আনবে। এরপর সম্মিলিত দোয়ার মধ্য দিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষ হয়।