মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাত ২টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মৎস্য অধিদপ্তরের স্পিডবোটে অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। ভোর ৪টার দিকে চরমণ্ডল লঞ্চঘাটের পশ্চিম দিকে তেঁতুলিয়া নদীতে এফবি সীতারাম-৩ নামের একটি আর্টিসনাল ফিশিং বোট আটক করা হয়। বোটে অবৈধ বেগুনি রঙের বেহুন্দি জাল ব্যবহার করে মাছ শিকারের প্রস্তুতি চলছিল।
এসময় বোট থেকে নিম্নলিখিত আলামত জব্দ করা হয়—কাঠের ফিশিং বোট এফবি সীতারাম-৩ (মূল্য প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা), ৪০২ এইচপি ক্ষমতাসম্পন্ন ইঞ্জিন (মূল্য প্রায় ৮০ লাখ টাকা), ৮টি নীল রঙের অবৈধ বেহুন্দি জাল (মূল্য প্রায় ৮ লাখ টাকা), ২০০ লিটার ডিজেল (মূল্য প্রায় ২ লাখ টাকা), ২০ কেজি বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ (মূল্য প্রায় ৫ হাজার টাকা।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—মো. ভুট্রো (২৬), পিতা মো. ইউনুস ফরাজী, গ্রাম: গজারিয়া, লালমোহন, ভোলা। সোহাগ চন্দ্র দাস (২৮), পিতা মৃত রঞ্জন দাস, গ্রাম: জীন নগর, চরফ্যাশন, ভোলা। মো. নুর উদ্দিন (৩৯), পিতা মৃত মোস্তফা, গ্রাম: চর পার্টিয়া, দক্ষিণ হাতিয়া, নোয়াখালী।
অভিযানে আটক তিন আসামির বিরুদ্ধে সামুদ্রিক মৎস্য আইন ২০২০ অনুযায়ী রাঙ্গাবালী থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গলাচিপা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ও রাঙ্গাবালীতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জহিরুন্নবী বলেন,
“মাছের প্রজনন ও সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। অবৈধভাবে কেউ মাছ শিকারে নামলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”