গত ৩১ জানুয়ারি, শুক্রবার রুয়েটের ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন (ETE) বিভাগের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পৃষ্ঠপোষকতায় দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত হলো "ETE কার্নিভাল ২.০"। এ আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে রুয়েটের ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীদের অগ্রণী ভূমিকা রাখার প্রস্তুতি নিশ্চিত করা এবং কর্মক্ষেত্রে তাদের সামনে থাকা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে অবহিত করা।
দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে গত তিন দশকে ব্যাপক বিনিয়োগ হয়েছে উল্লেখ করে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি ও টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপক জনাব গোলাম কিবরিয়া জানান, বর্তমানে দেশের প্রথম সারির টেলিকম প্রতিষ্ঠানে রুয়েটের ইটিই বিভাগের অনেক গ্র্যাজুয়েট সফলভাবে কাজ করছেন। পাশাপাশি, টেলিকম খাতের বাইরেও ইটিই গ্র্যাজুয়েটদের জন্য রয়েছে সম্ভাবনাময় কর্মক্ষেত্র।
অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জনাব মাসুদ হাসান বলেন, "নতুন বিভাগ হিসেবে ETE-এর অন্যতম চ্যালেঞ্জ হলো সরকারি ও আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগবিধিতে ETE অন্তর্ভুক্ত করা। বর্তমানে যেখানে কম্পিউটার সায়েন্স বা ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং স্বীকৃত, সেখানে ETE-এর অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে আমরা, বিভাগ এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একসঙ্গে কাজ করছি। মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর মহোদয়ও এ বিষয়ে সচেতন এবং তার সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আমরা আশাবাদী।"
তিনি আরও বলেন, "আমরা আশা করি, নতুন শিক্ষার্থীরা অ্যালামনাই নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একে আরও সমৃদ্ধ করবেন এবং ভবিষ্যৎ শিক্ষার্থীদের জন্য পথ সুগম করবেন।" উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে মাত্র ৩০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে রুয়েটের ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ। সময়ের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বর্তমানে এই সংখ্যা ৬০-এ উন্নীত করা হয়েছে।