লক্ষ্মীপুরে কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সামনে আনন্দ পরিবহনের একটি লোকাল বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রহমতখালী খালে পরে গিয়ে ৩ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও চারজন। এখনও ৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়ে পুলিশ।


আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত একজনের নাম মোরশেদ আলম, অপর দু্ইজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। মরদেহ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে আছে। এ ঘটনায় আরও ১০ থেকে ১২ জনকে উদ্বার করা হয়েছে। তাদের কেউ কেউ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানায় পুলিশ।


এ দিকে ঘটনার দুই ঘন্টা পার হলেও ঘটনাস্থলে ডুবুরি পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় উদ্ধারকারীদের। এছাড়া পানির তলদেশে কেউ ডুবে আছেন কি না তা-ও নিশ্চিত বলতে পারেনি ফায়ারসার্ভিস কর্মীরা। তবে স্থানীয় জনগণ উত্তেজিত হয়ে রয়েছেন। তাদের দাবি, ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দেরিতে আসায় ক্ষতি বেশি হয়েছে।

অন্যদিকে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা দুর্ঘটনায় একাধিক মৃত্যু হয়েছে দাবি করে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের বিরুদ্ধে। তাদেরকে কোনো কথা বলতে দেয়নি ক্ষুব্ধরা।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা লক্ষ্মীপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাস চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সামনে রহমতখালী খালে পড়ে ডুবে যায়। দুর্ঘটনার আড়াই ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও বাসটি উদ্ধার সম্ভব হয়নি। উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। এ ঘটনায় নিহত ও আহতদের কারও পরিচয় জানা যায়নি। ঘটনার পর প্রায় ১ ঘণ্টা লক্ষ্মীপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে সড়কের দুইপাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক করে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়জুল আজিম নোমান বলেন, অচেতন অবস্থায় আমরা ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে উদ্ধার করেছি। এরমধ্যে দুইজন মারা গেছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কয়েকজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গাড়িতে ৩০ থেকে ৩৫ জন যাত্রী ছিল। ডুবরী দলকে খবর দেওয়া হয়েছে।