পর্যটন নগরী কক্সবাজারের হাসপাতাল সড়কের 'মডার্ণ ডেন্টাল কেয়ার' নামক দন্ত চিকিৎসালয়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানকালে দন্ত চিকিৎসক দাবীদার জনৈক রমিজ উদ্দিনকে একজন রোগীর দাতের চিকিৎসা সেবা দিতে দেখা যায়।
এসময় রমিজ উদ্দিনকে 'সার্টিফাইড ডেন্টিস্ট' কিনা জানতে চাইলে তিনি ডেন্টাল টেকনিশিয়ান,ডেন্টিস্ট নন বলে স্বীকার করেন।
তিনি দাবী করেন জনৈক শামীম রাব্বি এখানে নিয়মিত চেম্বার করেন এবং রোগী দেখেন, আজ ছুটিতে আসেন। এর স্বপক্ষে সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই কালে এর সত্যতা পাওয়া যায়নি, ডাক্তারের সাথে ক্লিনিকের কোন চুক্তিপত্র বা ডাক্তার এ প্রতিষ্ঠানে সেবা দিয়েছেন এর স্বপক্ষে কোন প্রমাণাদি তিনি উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হন।
২৬ আগস্ট (মঙ্গলবার) বিকালে এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী। অভিযান কালে সংশ্লিষ্ট কাগজ পত্র পার্যোলোচনায় দেখা যায় ২০২৩ সাল হতে অদ্যবধি লাইসেন্সবিহীন ভাবে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে আসছেন এবং নিজেই ডাক্তার পরিচয়ে রোগীদের সেবা দিতে দিচ্ছেন।
তৎপ্রেক্ষিতে তিনি স্বীকার করেন যে তিনিই দাঁত স্কেলিং, রুট ক্যানাল, ক্যাপ পরানো সহ দাঁতের যাবতীয় চিকিৎসা এবং প্রেসক্রিপশন প্রদান করে থাকেন।
ডেন্টাল কেয়ারে উপস্থিত সেবাগ্রহীতাগন জানান,তারা রমিজ উদ্দিনকেই ডাক্তার হিসেবে জানেন এবং চিকিৎসা গ্রহন করেছেন।
এমতাবস্থায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দন্তচিকিৎসক না হয়েও ভুয়া পদবী ব্যবহার করে মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে জনৈক রমিজ উদ্দিনকে 'বাংলাদেশ মেডিক্যাল ও ডেন্টাল আইন, ২০১০' এর ২৯ ধারা মোতাবেক ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার টাকা) অর্থদন্ড প্রদান করা হয় এবং প্রতিষ্ঠানটি সীলগালা করে রেজিস্টারসহ অন্যান্য কাগজপত্র পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব নীলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জনাব ডা টিটু চন্দ্র শীল, সহকারী কমিশনার(ভূমি) জনাব শারমিন সুলতানা, মেডিকেল অফিসার জনাব স্মৃতি সরকার, পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর জনাব জওহরলাল পাল, জনাব আব্দুর রহিম, আনসার বাহিনীর সদস্যবৃন্দ ও জেলা পুলিশ।
ডেন্টাল চেম্বার ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকে লাইসেন্সিং এর আওতায় আনার জন্য উপজেলা প্রশাসনের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।