চট্টগ্রামের আনোয়ারায় পিএবি সড়কে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় অলৌকিক ভাবে বেঁচে যাওয়া ১০ বছরের শিশু সুমাইয়া আক্তার এখনো জানেনা যে তার মা ও দুই বড়ভাই আর বেঁচে নেই, তাঁরা আর কোনদিন ফিরে আসবেনা, কোলে নিয়ে আদরও করবেনা তাকে। চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুমাইয়াকে এখনও জানানো হয়নি তার মা ও বড়ভাইদের মৃত্যুর খবর। কিছুক্ষণ পর পর সুমাইয়া জিজ্ঞেস করছে তার মা ও ভাইদের কথা, উত্তরে তাঁরা অন্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন এমন মিথ্যে কথা শোনানো হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার আছরের নামাজের পর পটিয়া উপজেলার জিরি গ্রামস্থ পারিবারিক কবরস্থানে পাশাপাশি তিনটি কবরে চির নিদ্রায় শায়িত করা হয় সুমাইয়ার মা কোহিনুর আক্তার(৪৮) এবং তার কলেজ পড়ুয়া দুই বড়ভাই মিরাজ (২৩) ও মানিক(১৭)কে।
লৌমহর্ষক এই ঘটনায় পুরো এলাকা জুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া, বিরাজ করছে থমথমে অবস্থা। সুমাইয়ার বাবা শফিউল আলম স্ত্রী ও দুই পুত্রকে হারিয়ে বাকরূদ্ধ প্রায়। অন্যদিকে কোহিনুরের মা জুলেখা বেগমের বুক ফাটা কান্না থামনোর যেন কেউ নেই। প্রসঙ্গতঃ গত বৃহস্পতিবার (১ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দক্ষিণ চট্টগ্রামের পিএবি সড়কে আনোয়ারার ডাক পাড়া নামক স্থানে বাস ও সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় সুমাইয়ার মা কোহিনুর আক্তার, আহতাবস্থায় হাসাপাতালে নেয়ার পথে মারা তার দুই বড়ভাই মিরাজ ও মানিক। এ ঘটনায় অলৌকিক ভাবে বেঁচে যায় শিশু সুমাইয়া। কোহিনুর তার ছেলে মেয়েদের নিয়ে পটিয়ার জিরি গ্রামস্থ শ্বশুড়বাড়ি থেকে আনোয়ারা উপজেলার গুন্দ্বীপ গ্রামের বাপের বাড়ীতে বেড়াতে যাচ্ছিল।