প্রতিবেশী নজরুল ইসলাম জানান, ড্রাগন চাষি আজিজুল ইসলাম শিয়াল ঠেকাতে জিআই তারে বিদ্যুতের সংযোগ দিয়েছিলেন। সকালে শাহাদাত হোসেন গরু নিয়ে জমিতে কাজ করতে গেলে বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। একই সময়ে গুরুতর আহত হন চাষি ইকতার হোসেন এবং মারা যায় তাঁর একটি গরু।
প্রত্যক্ষদর্শী শাকিল আহম্মেদ বলেন, “সকালে হঠাৎ মানুষের চিৎকার শুনে ছুটে গিয়ে দেখি শাহাদাত হোসেন মাটিতে পড়ে আছেন। পাশে ইকতার হোসেন ছটফট করছেন এবং কিছু দূরে মৃত গরুটি পড়ে আছে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ইকতার হোসেনকে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।”
তালসার গ্রামের চাষি কামরুল ইসলাম বলেন, “আমি পাশের বাদামের জমিতে কাজ করছিলাম। হঠাৎ কোলাহল শুনে এসে দেখি একজন মারা গেছেন, একজন আহত অবস্থায় কাতরাচ্ছেন এবং একটি গরু মৃত অবস্থায় পড়ে আছে।”
নিহত শাহাদাত হোসেন ডেঙ্গু তালসার উত্তরপাড়ার আমির হোসেনের ছেলে। আহত ইকতার হোসেন একই গ্রামের পশ্চিমপাড়ার খেজের আলীর ছেলে এবং বর্তমানে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। ড্রাগন চাষি আজিজুল ইসলাম (মনু প্রধানীয়ার ছেলে) ঘটনাটির পর থেকে পলাতক রয়েছেন।
কোটচাঁদপুর থানার তদন্ত কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন বলেন, “ঘটনায় একজন নিহত, একজন আহত এবং একটি গরু মারা গেছে। আমরা এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, “নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হবে। অভিযোগ না পেলে থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হবে।”