শেরপুরে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী সাথে পুলিশের সংঘর্ষে পুলিশসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ও টিয়ারসেল ছুঁড়েছেন। এ সংঘর্ষের ঘটনায় শেরপুর জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র রঘুনাথ বাজার এলাকায় যান চলাচল ও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। এলাকায় থমথমে বিরাজ করছে।
আহতদের মধ্যে সাংবাদিক জাহিদ হোসেন খোকন, জাকির, জান্নাতুল মিম, তুহিন, সুজন, নাহিম, মাসুদ রানা, তাসদিত, রিয়া, তালহাজ, লোকশন, শরিফ সহ আরো অনেকেই শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এদিকে পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।জানা গেছে, আজ বিকেল ৩টায় শেরপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীরা প্রথমে বিক্ষোভ মিছিলে বের করে শহরে প্রবেশ করে।
এর কিছুক্ষণ পর ছাত্রলীগের একটি মিছিল শহরে প্রবেশ করে। এ সময় আন্দোলনকারীদের সাথে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রনে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ও টিয়ারসেল য়াসের নিক্ষেপ করে। এতে প্রথমে আন্দোলনকারীরা পিছিয়ে গেলেও কিছুক্ষণ পর আমারও তারা শহরের নিউমার্কেট মোড় থেকে সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে থানা মোড়ে অবস্থান নেয়।
এতে পিছিয়ে যায় ছাত্রলীগ ও পুলিশ। পরবর্তীতে পুলিশ আবার সংঘবদ্ধ হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আন্দোলনকারীদের ছাত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় পুলিশ আবারও কয়েক রাউন্ড গুলি এবং কেয়ার সেল নিক্ষেপ করে ।এভাবেই সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এদিকে এই সংঘর্ষের সময় ইট পাটকেল নিক্ষেপের ফলে জাহিদ হাসান খোকন নামে এক সাংবাদিক আহত হয়। এছাড়াটি আসেন ও বিক্ষোভকারীদের ইটের আঘাতে পুলিশ সদস্য সহ কমপক্ষে ২০ জন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আহত হয়।বর্তমানে পুরো শেরপুর শহর থমথমে বিরাজ