মোটরসাইকেল কম বেশ চুরি হয় না এমন এলাকা দেশে নেই বললেই চলে। যদিও তা একসময় শহর এলাকায় প্রচলিত ছিল।

মোটরসাইকেল কম বেশ চুরি হয় না এমন এলাকা দেশে নেই বললেই চলে। যদিও তা একসময় শহর এলাকায় প্রচলিত ছিল। কিন্তু বর্তমানে তা গ্রাম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এমনি কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের কয়েকটি মসজিদসহ বিভিন্ন স্থানে। গতকাল সোমবার মাগরিবের নামাজ আদায় করতে ধানকোড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে মোটরসাইকেল রেখে নামাজ আদায় করতে যান এক মুসল্লি। নামাজ আদায় শেষে বের হয়ে দেখে তার মোটরসাইকেলটি চুরি হয়ে গেছে। এর কয়েক সপ্তাহ আগে ঠিক একই সময় একই স্থান থেকে আরো একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। এ ঘটনার কয়েকদিন আগে দেওয়ানপাড়া জামে মসজিদের সামনে থেকে হাফেজ ক্বারী মাওলানা ইব্রাহিম খলিলুল্লাহর ডিসকভার মোটরসাইকেলটি মাগরিবের নামাজ আদায়ের সময় চুরি হয়, যা এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। এর কিছুদিন পূর্বে সেকেন্ড গোলড়ায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত বদর উদ্দিন জামে মসজিদের সামনে থেকে মাগরিবের নামাজ আদায়ের সময় এক মুসল্লির একটি পালসার মোটরসাইকেল চুরি হয়। এভাবে মোটরসাইকেল চুরি হওয়ার কারনে মাগরিবের নামাজে মোটরসাইকেল নিয়ে আসা নামাজিদের জন্য ভয়ের কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। মসজিদের সামনে ছাড়াও বিভিন্ন স্থান থেকে চুরি হচ্ছে মোটরসাইকেল। যেমন ধানকোড়া গিরিশ ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল বাশারের মোটরসাইকেলটি চুরি হয় তার বাড়ির সামনে থেকে। পল্টি মুরগি খামারী মোঃ বিল্লাল হোসেনের গাড়িটি চুরি হয় তার মুরগি খামারের সামনে থেকে। ডিস ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীনের গাড়িতে চুরি হয় নয়াডিঙ্গ বাসস্ট্যান্ড থেকে যার কোন হদিশ পাওয়া যায় নাই। কে বা কারা এসব চুরির সাথে জড়িত তা এখনো জানা সম্ভব হয়নি। বারবার মোটরসাইকেল চুরি হওয়া নিয়ে এলাকাবাসী বেশ আতঙ্কিত। তবে এলাকাবাসী মনে করেন, মোটরসাইকেল রাখার ক্ষেত্রে আরোও সতর্ক হতে হবে এবং দিতে হবে একাধিক নিরাপত্তা তালা। সেই সাথে তারা আহ্বান জানান, পুলিশ প্রশাসন যেন অনতিবিলম্বে এই মোটরসাইকেল চোর চক্ররের সদস্যদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনে। এতে জন মনে স্বস্তি ফিরে আসবে বলে তারা বিশ্বাস করে।