শীতকালীন সকল সবজির দাম এখন সাধারণ ক্রেতার নাগালে। সবজির দাম কম থাকায় সাধারণ মানুষেরা তৃপ্তি সহকারে শীতকালীন সবজি খেতে পারছে। শীতকালীন সবজির মধ্যেও ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, শিম,শালগম, গাজর, পালং শাক, পেঁয়াজের ফুল এবং আলুর দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে চলে আসায় মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন আয়ের মানুষ গুলো স্বাচ্ছন্দে বাজার করতে পারছে। নিম্ন আয়ের মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা খুব খুশি। তারা তাদের আয়ের টাকা দিয়ে খুব সুন্দরভাবে বাজার করতে পারছে এতে করে তাদের সংসার ভালো চলছে এবং শীতকালীন সবজির চাহিদা মিটে যাচ্ছে। কিন্তু কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা খুবই হতাশ। সাতক্ষীরা অঞ্চলের কৃষকেরা এই বছর বেশি দাম পাওয়ার আশায়,প্রচুর পরিমাণে সবজি চাষ করে। ফলে শীতকালীন সবজি অনেক বেশি উৎপাদিত হওয়ায়, এই জেলাই শীতকালীন সবজির দাম অনেক কমে গিয়েছে। তারা তাদের সবজির ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। তারা সবজি উৎপাদন করতে যত টাকা ব্যয় করেছে, সেই টাকায় সবজি বিক্রয় করে তারা তাদের খরচ নির্বাহ করতে পারছে না। ফলে কৃষকের মধ্যে চরম হতাশা কাজ করছে। একজন কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি এ বছর এক বিঘা জমিতে ফুলকপির চাষ করেছেন ফুলকপি চাষ করতে তার যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়েছে তিনি প্রতি পিস ফুলকপি দুই থেকে তিন টাকা বিক্রি করে তার যে খরচ,তিনি তা তুলতে পারছেন না। তিনি আগামী তে ফুলকপির চাষ করবেন না বলে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছেন। কৃষকরা বলেন কৃষি পণ্যের দাম যদি এত কম হয় তাহলে কৃষকেরা শীতকালীন সবজি উৎপাদন করতে অনুৎসাহিত হবে। তারা সরকারের কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছে যে সবজির দাম কমার পাশাপাশি সবজি চাষের আনুষাঙ্গিক খরচ যেন কম করা হয়। বিশেষ করে সার এবং কীটনাশকের দাম কমিয়ে কৃষকদেরকে সবজি উৎপাদন করতে উৎসাহিত করবে।