বুধবার সন্ধ্যায় সাভারে হেমায়েতপুর ঝাউচর এলাকার এস এম জুয়েলের হাউজিংয়ের ভিতরে এই গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
এঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সাভার মডেল থানায় একটি মামলা (নং ৩৪) দায়ের করেছেন।
গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলো ঢাকা জেলার সাভার থানার ঝাউচর উত্তরপাড়া মহল্লার মৃত আঃ ছাত্তারের ছেলে মোঃ রাসেল (২৯), একই থানার মোঃ আবুল কাশেমের ছেলে মোঃ কবির হোসেন (২৪), মোঃ কামাল মিয়ার ছেলে মোঃ শরীফ হোসেন (২৭) ও দক্ষিণ মেইটকা গ্রামের মোঃ সোহরাবের ছেলে সোহাগ মিয়া (২৮),
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই নারী বুধবার সাভারের শ্যামপুর এলাকায় অর্কিড গার্মেন্টসে চাকুরির জন্য যায়। সেখান থেকে তার সহকর্মী মোঃ রাকিব হাসান লাবুর সাথে বাসায় ফেরার পথে ঝাউচর এলাকার এস এম জুয়েলের হাউজিংয়ের সামনে পৌঁছলে চারজন বখাটে ওই নারীকে জোরপূর্বক হাউজিংয়ের মধ্যবর্তী স্থানে কলা বাগানের ভিতর নিয়ে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে ওই নারী এবং তার সহকর্মীর ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা তিন ধর্ষককে আটক করে। একসময় সোহাগ নামে এক ধর্ষক কৌশলে পালিয়ে যায়।
সাভার ট্যানারি ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ সিরাজুল ইসলাম সবুজ বলেন, গণধর্ষণের ঘটনায় তিন জনকে আটক করা সম্ভব হলেও একজন কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়েরের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে তিন জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।