দিরাইয়ে চলছে মাছ লুটের উৎসব। প্রতিদিনই ভোর হতেই শোনে যাচ্ছে একেক বিলে মাছ  লুটের  খবর।
দিরাই পৌরসভার বেতইর  নদীর কচুয়া ,সুজানগরের সেখামপুরের খাড়া বিলের পাইলিং করে রাখা সমস্ত মাছ  লুট   করে নিয়ে যায় লুটেরা ।
২৮ শে ফেব্রুয়ারী সকাল ১০টায় কয়েক গ্রামের হাজারো মানুষ দিরাই উপজেলার চরনারচন ইউনিয়নের কামান বিলের মাছ শিকার করে নিয়ে যান। তখন কামান বিলের ইজারাদাররা হাতে পায়ে ধরে বাধা দেওয়ার পরেও লুট থেকে থামাতে পারেননি। এতে প্রায় দেড় কোটি টাকার মাছ লুট হয়েছে বলে জানান ইজারাদাররা । সমিতির সাধারন সম্পাদক সুধীর বিশ্বাস জানান প্রায় দুইশত একর জায়গা নিয়ে বিলটি অবস্হিত। তিন বছরের পাইলিং করা বিলটির। খবর পেয়েই বড় মাছগুলোর পাইলটি প্রথমে লোট করে নেয় মাছলুটেরা ।এই বিষয়টি নিয়ে উকিলের পরামর্শে মামলা প্রক্রিয়ার কাজ চলছে বলেও জানান।
এরই ধারাবাহিকতায় লুটেরা ও জেলেরা অতি উৎসাহিত হয়ে মাছ লুটে  ব্যস্ত ।

১ লা মার্চ থেকে প্রতিদিনই পরিকল্পিতভাবে একের পর এক বিল লুটে ব্যস্ত থাকায় সুনামগঞ্জের দিরাই
 থানা পুলিশ পরিস্তিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। বাধা দেওয়া পুলিশ ও সেনাবাহিনীর উপরও চড়াও হচ্ছে লুটেরা ও উৎসুক জেলেরা।  
৫ ই মার্চ বুধবার
দিরাই পৌরসভার সুজানগরের   সেখামপুরের কাড়া  বিলের দুইটা অংশেও একইভাবে পাইলিং করা বিলটি সকাল থেকে হাজারো জেলেরা লোটপাটে ব্যস্ত হয়ে যায়। 

দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক জানান আজ কয়েকদিন যাবৎ কিছু লোটেরা পরিকল্পনা করে একের পর এক লোটের জন্য বহিরাগত লোকদের সম্পৃক্ত করছে ।দিরাই থানা প্রশাসন সার্বক্ষনিক  দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত ।  সেনা বাহিনী পুলিশ টহলে বিল লোটেরা ও উপিস্তিত হাজারো হাজার উৎসোক জনতাও লোটের উৎসবে ব্যস্ত । পরিস্তিতি এখন সিথিল আছে এবং বিল পাহাড়ায় পুলিশ মোতায়েন আছে ।
বড়ারগাঁও কচোয়া মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি লংকেশচর দাশের প্রতিনিধী সমিতির সদস্য লিপন হাসান চৌধুরী জানান  প্রায়
 ৭০ লাখ টাকার ২ বছরে বিলটি   পাইলিং করে মাছ ধরার প্রক্রিয়ায় রেখেছিলাম। আজ ভোর সকালে এসেই বিলটি লোট করে নিয়েগেছে । আমরা হাতে পায়ে ধরে প্রশাসনিক ভয় দেখিয়েও তাদের সামলাতে পারিনি।পরে প্রশাসনিক লোকজনও ব্যার্থ হয়। আমরা নিজ দায়িত্বে  কিছু জেলে ও লুটেরাদের হাতেনাতে ধরে প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করি।

অপরদিকে শাল্লার বড়গাও- ইয়ারাবাদ গ্রুপ জলমহালের বিলটি লুট করা  হয় গত বুধবার। বিলটি  সায়রাত অধিশাখা-১ এর স্মারক নং ৩১,০০,০০০০,০৫০,৬৮.০১৩.২০২০-২০৫,। ১৪২৭-১৪৩২ বাংলা সন মেয়াদে ইজারাপ্রাপ্ত হয়ে যথারীতি চুক্তি সম্পাদন ক্রমে জলমহালের দখলপ্রাপ্ত হয়ে নির্ধারিত ইজারা মূল্য ও অন্যান্য করাদি পরিশোধ করে আসছে।  কিন্তু এরপরেও জাল সহ মাছ ধরার অন্যান্য সামগ্রী দ্বারা প্রকাশ্য দিবালোকে  প্রায় ৫ হাজার  লুটেরা মাছ  লুট  করে নিয়ে যায়। পরে  তারা জেলা প্রশাসক বরারর বিল লুটের ক্ষয়- ক্ষতি প্রসঙ্গে আবেদন করেন ।