মিরসরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম উত্তরজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, ৫ আগষ্টের গনঅভ্যুত্থান এক মাসের কিংবা এক সপ্তাহের আন্দোলনের ফসল নয়। এই আন্দোলন বেগম খালেদা জিয়া ও দেশ নায়ক তারেক রহমানের সুপরিকল্পিত সুদীর্ঘ স্বৈরাচার ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকার বিরোধী সংগ্রামের চুড়ান্ত ফসল। ২০০৮ সাল থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের আন্দোলনের জন্য এই বিজয় এসেছে।বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিকালে মিরসরাই থানার বিপরীত পাশে উষা ডেভেলপারস মাঠে জাতীয় সিপাহি বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য এইসব কথা বলেন তিনি।
মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব গাজি নিজাম উদ্দিনের সঞ্চালনায় ও বারইয়ারহাট পৌর বিএনপির আহ্বায়ক দিদারুল আলম মিয়াজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার আলমগীর, কাজী মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, চট্টগ্রাম সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক জাহেদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক বদিউল আলম বদরুল, সদস্য সচিব নাজিম উদ্দিন শাহীন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল, মিরসরাই উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন, মিরসরাই পৌর বিএনপির সদস্য সচিব জাহিদুল হোসাইন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্য চেয়ারম্যান নুরুল আমিন আরো বলেন, ‘বিএনপি নেতা কর্মীদের গুম খুন জেল জুলুম নির্যাতন নিপীড়নের ফসল এই ৫ই আগস্টের বিজয়। এই বিজয় বৃথা যেতে দেব না আমরা। দেশ নায়ক তারেক রহমানকে বীরের বেশে দেশে এনে গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেশের প্রধানমন্ত্রী বানাতে পারলেই এই বিজয়ের সফলতা আসবে।সমাবেশ শেষে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের নেতৃত্বে স্মরণ কালের বৃহৎ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক বিএনপি নেতা কর্মী ও সমর্থকরা অংশগ্রহণ করেন। পরে মিরসরাই পৌরসদর থেকে উপজেলার বড়তাকিয়া গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়। মিছিল বের করলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় ৩ ঘন্টা থেকে বেশি যানজটের সৃষ্টি হয়৷ এতে দীর্ঘক্ষণ যান চলাচল ব্যহত হয়৷ এছাড়া সমাবেশস্থলে বিএনপির বেশ ক'জন নেতাকর্মীর মোবাইল, নগদ অর্থ এবং মানিব্যাগ চুরির ঘটনা ঘটেছে৷