প্রথমত:-↓ মাজারপূজারীরা সহ যারা নুরা পাগলের লাশ পুরানো নিয়ে তার সম্পর্কে না জেনে না বুঝে তার পক্ষে মন্তব্য করছেন, তাদেরকে বলব আসুন আসল সত্যটা জেনে নেই। কাফির, নাস্তিক, মুরতাদদের বিচার রাষ্ট্রীয়ভাবে হওয়া উচিত ছিলো।


রাষ্ট্র যখন ফেল, তখন সচেতন জনতার কাজে কিছু ত্রুটি তো হবে,এটাই স্বাভাবিক। যদি দেশ পদক্ষেপ নিতো তবে এভাবে মৃত লাশ পুরতোনা।এ ৯০থেকে ৯৫% মুসলিম দেশে ইসলাম নিয়ে যাচ্ছেতাই করারতো কোন সুযোগ নেই। ধর্মের অপব্যবহার করলে মুসলিম জনতা রাগবে এটা স্বাভাবিক। 
এখনো যদি এদেশের বাকি ভন্ডকারবার করা মাজারগুলো নিয়ে রাষ্ট্র মাথায় নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করে,তাহলে লাগাম ধটা সহজ হবে৷ অপ্রীতিকর ঘটনা আর কখনোই ঘটবেনা। বর্তমান ধর্মমন্ত্রী ও বায়তুল মুকাররম এর খতীব দুইজনই হক্কানি আলেম,এ দুইজন ব্যক্তি যদি শক্ত অবস্থানে পদক্ষেপ নেন,তাহলে অবশ্যই  ক্ষমতাবলে সুস্থ সংস্কার করা সম্ভব হব।

দ্বিতীয়ত:-↓
এবার আসেন মৃত ব্যক্তির লাশ পোড়ানো তো দূরের কথা, শরীরের কোনো অঙ্গে আঘাত করাও ইসলাম সমর্থন করে না। জীবিত থাকতে প্রতিবাদ না করে মৃত্যুর পর এমন গর্হিত কাজ কোন দৃষ্টিকোণ থেকে করা হলো তা বুঝে আসছে না। তবে দেশকে অস্থিতিশীল করতে পরিকল্পিত ঘটনা নয় তো? হতে পারে ইসলামপন্থা তথা ধর্মকে খাটো করতেও ঘটানো হতে পারে এই ঘটনা। কিন্তু মজারের ভণ্ডামি উত্খাত করা এবং কাবা শরিফ ও নবীজির রওজার আদলে ডিজাইন করে, আবার ভিতরে সম্পূর্ণ প্লাস্টার করে মাটি থেকে অনেক উপরে কফিনে করে লাশ ঢুকিয়ে ঢেকে রাখছে, এত্তবড় ভণ্ডামি রুখতে যে প্রতিবাদ ও লাশতুলে জাতিকে সতর্ক করা হয়েছে, এটার সমর্থন করি। তবে লাশটি স্থানান্তরিত করে আরেকটি জায়গায় মাটি দিলে ভালো হতো। কিন্তু দেশে ইসলামি শাসন/হুদুদ কোনটাই নেই,তাই আইন বিরোধী এবং ইসলাম পরিপন্থীভাবে লাশকে রোডে ফেলে এভাবে পুড়িয়ে দেওয়া ইসলাম সমর্থন করেনা।

তৃতীয়ত:-↓
ভন্ড নুরা পাগল এর শরিয়ত বিরোধী কার্যকলাপগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধানগুলো হলো...↓

১। ভন্ড নুরাল পাগল নিজেকে ইমাম মেহেদী দাবি করতেন। 
২। সে তার  জীবদ্দশায় তার ভক্তদের কাছে মহাগ্রন্থ আল কোরআনকে বলতো ভুজপাতা অর্থাৎ মুল্যহীন। (নাউজুবিল্লাহ)
৩। তার ছেলে নুরতাজ খিষ্ঠান ধর্মের অনুসারী এবং সে মুসলমানদেরকে ধর্মান্তরিত করছে।
৪। সে মৃত্যুর পূর্বে তার কবরকে কা'বার আদলে নির্মাণ করেছে এবং মৃত্যুর পর তার কবরকে তাওয়াফ করার অসিয়ত করে গেছে যার ফলে তার মৃত্যুর পরের শুক্রবার তার কবরকে কেবলা করে জুমার নামাজ আদায় করে তার ভক্তরা ।
৫। তার ভক্তরা মৃত্যুবরন করলে তাদেরকে ৬ তকবীর এর সহিত জানাযা দেয়া হয়।
৬। সে তার নামে নিজস্ব কালেমা তৈরি করেছে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মেহেদী রসুল্লাহ। নাউজুবিল্লাহ। 
৭। ভন্ড নুরাল পাগল এর দাফনের সময় তার মাথা দক্ষিণ এবং পা উত্তর মুখি করে রাখা হয়েছে।
(নাউজুবিল্লাহ)

উপরোক্ত  তথ্য অনুযায়ী এটা স্পষ্ট যে নুরাল পাগল একজন ইসলাম বিদ্বেষি ভন্ড।  সে এবং তার ছেলে  আমাদের ইসলাম ধর্মকে বিকৃত করে যাচ্ছে। অতএব প্রত্যেক মুসলমানকে  দ্বীনের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। 

এটা থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিত, এমন কোন পাপ যেন আমার দ্বারা না হয়ে যায়, যে পাপের কারণে মৃত্যুর পরেও মানুষ আমার সাথে এ ধরনের আচরণ করে আল্লাহ  তায়ালা আমাদের সহীহ বুঝ দান করেন, আমিন।