এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন দুই উপদেষ্টা। তারা দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন। তবে কলেজের মূল ফটক ও ভবনের বাইরে আগে থেকেই অবস্থান নিয়ে থাকা শিক্ষার্থীরা তাদের উপস্থিতির বিরোধিতা করে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকেন।
একপর্যায়ে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা উপদেষ্টাদের ঘিরে ফেলেন। পরিস্থিতি সংকটপূর্ণ হয়ে পড়লে উপদেষ্টারা ৫ নম্বর ভবনের নিচতলায় অবস্থিত কনফারেন্স কক্ষে আশ্রয় নেন।
ওই কক্ষটি কলেজের উপাধ্যক্ষের কক্ষসংলগ্ন। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ৫–৭ জন প্রতিনিধি ভেতরে নেওয়া হয় আলোচনার জন্য। তবে এর মধ্যে পুরো কলেজজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে যে— উপদেষ্টারা ভেতরে অবস্থান করছেন। মুহূর্তেই কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ৫ নম্বর ভবনের সামনে জড়ো হন এবং বিক্ষোভ শুরু করেন। পরিস্থিতি তখন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, দুর্ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ উদ্ধার ও চিকিৎসায় চরম ব্যর্থতা দেখিয়েছে। সংকীর্ণ প্রবেশপথ, জরুরি আইডি কার্ডে অভিভাবকের ফোন নম্বর বা রক্তের গ্রুপের অনুপস্থিতি, দেরিতে অ্যাম্বুলেন্স আসা— এসব নানা বিষয় তুলে ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
একপর্যায়ে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কিছুটা শিথিল হলে উপদেষ্টারা পুলিশ প্রহরায় বাইরে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। তবে তখনও কিছু শিক্ষার্থীর বাধার মুখে পড়ে তারা ফের ভবনে ফিরে যেতে বাধ্য হন। অবশেষে প্রায় ৯ ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে পুলিশ সদস্যরা দুই উপদেষ্টাকে ভবন থেকে বের করে আনে এবং নিরাপদে এলাকা ত্যাগ করতে সহায়তা করে।
উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাথমিক শাখায় বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে বহু শিক্ষার্থী হতাহত হন। ঘটনার পর থেকেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।