আলোচনায় বক্তারা নবীনগরের দীর্ঘদিনের অবহেলা ও বঞ্চনার চিত্র তুলে ধরে বলেন, উন্নয়ন বঞ্চিত এই অঞ্চলের প্রাপ্য অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তারা জানান, পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সময় উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে, যাতে এটি হয় সার্বজনীন গ্রহণযোগ্য একটি প্ল্যাটফর্ম।
সভায় বক্তারা নবীনগরের গ্যাস সুবিধা বঞ্চনার বিষয়টি জোরালোভাবে তুলে ধরেন। একইসাথে, সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের জন্য অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদের দেয়া ডিও লেটারের জন্য তাঁকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান। বক্তারা বলেন, নবীনগরের সন্তান হিসেবে তাঁর এই উদ্যোগ গর্বের, তবে মেডিকেল কলেজের স্থান নির্ধারণে যেন নবীনগরবাসী সরাসরি উপকৃত হয়—সে দাবি জানানো হয়। এ প্রেক্ষিতে কলেজটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের গোকর্ণঘাট সংলগ্ন রসুলপুরে স্থাপনের প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।
এ দাবিতে আগামী ২১ আগস্ট ‘ঐক্যবদ্ধ নবীনগর’ মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়।
এছাড়া, সভায় নবীনগর-বাঞ্ছারামপুর সড়কের নির্মাণ কাজ দ্রুত শুরু, তৃতীয় মেঘনা সেতুর কাজের উদ্বোধন এবং ভয়াবহ নদীভাঙন রোধে কার্যকর প্রকল্প গ্রহণের জন্য সরকারের দায়িত্বশীল মহল ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে জোর দাবি জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নবীনগর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবু কামাল খন্দকার, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মফিজুর রহমান মুকুল, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আসাদুজ্জামান দুলাল, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান কল্লোল, শাহানুর খান আলমগীর, আবু কাউছার, আব্বাস উদ্দিন হেলাল, এস এ রুবেল, সোহেল মিয়া,উপজেলা জিয়া মঞ্চের সদস্য সচিব রুবেল আকরাম, প্রমুখ।
উল্লেখ্য, নবীনগরের স্বার্থে যেকোনো দাবি আদায়ে সোচ্চার থাকা এবং উন্নয়ন বঞ্চনার অবসান ঘটানোই ‘ঐক্যবদ্ধ নবীনগর’-এর মূল লক্ষ্য।