শনিবার (২৩ আগস্ট) রাতে উপজেলার গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের মানুরি এ ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন, ফরিদগঞ্জ থানার সহকারি উপপুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) মো. দেলোয়ার হোসেন ও আহাল উল্যাহ। এঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত ওই আসামি ও গৃহবধূসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন, চুরির মামলায় ১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী মানুরি গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মো. ফারুক হোসেন (৩৫), ফারুক হোসেনের স্ত্রী কুলসুমা বেগম বৃষ্টি (২৮), ফারুকের ভাই হাসান মিয়ার স্ত্রী ঝর্ণা বেগম (৩৩), ও তাদের স্বজন মোবারক হোসেনের মেয়ে তানিয়া আক্তার (২২)।
এদিকে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ১০ জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাত আরো ১০ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন হামলার শিকার ফরিদগঞ্জ থানায় দায়িত্বরত সহকারি উপপুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) দেলোয়ার হোসেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে গোপণ সংবাদে খবর পেয়ে চুরির মামলায় ১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী মো. ফারুক হোসেনকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে আসার সময় তার স্বজন ও স্থানীয় একটি চক্র পুলিশের ওপর হামলা করে। পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে হাতকড়া পড়া অবস্থায় আসামী ফারুক হোসেন পালিয়ে যায়। এসময় দুইজন এএসআই আহত হয়। সংবাদ পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের বেশ কয়েকটি দল রাতভর অভিযান চালিয়ে পালিয়ে যাওয়া আসামী ফারুক হোসেন ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত ফারুকের স্ত্রীসহ ৩ জনকে আটক করতে সমর্থ হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, মাদক ও চুরিসহ ৬টি মামলায় অভিযুক্ত ও ১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী ফারুক হোসেনকে আটক করতে গিয়ে পুলিশ হামলার শিকার হয়। আহতরা চিকিৎসা নিয়েছেন। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরপূর্বক রবিবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে।