অল্প কয়েকজন চিকিৎসক দিয়ে নামে মাত্র হাসপাতালটি চালু রাখা গেলেও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা।

লোকবল সংকটের কারণে কিশোরগঞ্জের ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা।প্রতিদিন অসংখ্য রোগী চিকিৎসা সেবা না পেয়ে চলে যাচ্ছেন অন্য হাসপাতালে। গরীব সাধারণ রোগীদের ভোগান্তির শেষ নাই এই হাসপাতালে। বিরাজমান বিভিন্ন সমস্যার দ্রুত সমাধানের কোন উদ্যোগ দৃশ্যমান নয়। কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়কের তথ্যমতে,হাসপাতালটিতে মোট ৮৮ জন চিকিৎসক কর্মরত থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে ৩১টি পদ ই দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। অল্প কয়েকজন চিকিৎসক দিয়ে নামে মাত্র হাসপাতালটি চালু রাখা গেলেও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা।

হৃদরোগ বিভাগ দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ থাকার কারণে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন এলাকার হৃদ রোগীরা। ফলে ঝুঁকি নিয়ে হৃদরোগীরা হাসপাতালের অন্যান্য বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন নতুবা চলে যাচ্ছেন অন্য হাসপাতালে।নাক কান গলা বিভাগসহ সার্জারি, অর্থপেডিক, শিশু, চক্ষু, দন্ত বিভাগে কোন কনসালটেন্ট ডাক্তার না থাকায় রোগীরা বাধ্য হচ্ছেন অন্যত্র চিকিৎসা নিতে। অপারেশন থিয়েটারে অজ্ঞান করার কোন কনসালটেন্ট ডাক্তার না থাকায় কোন বড় অপারেশন করা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া নার্সিং সুপারিনটেনডেন্টসহ অনেক নার্সের শূণ্য পদে লোকবল না দেয়ায় চিকিৎসা সেবা চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে।অত্র হাসপাতালে কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ মোট ৪৫৩টি পদে কর্মরত আছেন ২৮৬ জন।

এখনো শূণ্য আছে ১৬৭ জন যা মোট পদের ৩৬.৮৭ শতাংশ।অত্র হাসপাতালের সীমানা প্রাচীর প্রায় অর্ধেক ভেঙে পড়েছে। ফলে রাতের বেলায় মাদকসেবীদের অবাধ আনাগোনা পরিলক্ষিত হয়।২০ বৎসরের পুরোনো ৩টি এম্বুলেন্স থাকলেও সবগুলোই ব্যবহারের অনুপযোগী। ফলে রোগীরা বাধ্য হয়ে বেশি টাকা দিয়ে বাহিরের এম্বুলেন্স ব্যবহার করছেন।অত্র হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ নুর মোঃ শামসুল আলম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি চিকিৎসা সংকটসহ সবধরনের সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন,এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ উর্ধ্বতন মহলকে অবহিত করা হয়েছে এবং সেখান থেকে সমাধানের আশ্বাস পাওয়া গেছে।