নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার মদনপুরে অপরাধ দিন দিন বেড়েই চলেছে। ধামগড় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্য হাফিজুর রহমান দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অপরাধীরা যেন নির্বিঘ্নে অপরাধ কর্মকাণ্ড করার সুযোগ পাচ্ছে। এমনই অভিযোগ এলাকাবাসীর।
মদনপুর বাসস্ট্যান্ডে ফুটপাত দখল করে হকারদের যেমন নৈরাজ্য তেমনই সিএনজি ও অটো স্ট্যান্ডেও
নৈরাজ্য চলছে। মদনপুর বাস স্ট্যান্ডের মোড়টি সব সময় হকার, অটো ও সিএনজির দখলে থাকায় যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।
মদনপুর স্ট্যান্ডে বন্দর সড়কে ও এশিয়ান হাইওয়ে সড়কের পাশে ফুটপাত দখল করে প্রায় ২ শতাধিক দোকান রয়েছে। দোকানদারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিন ধামগড় ফাঁড়ির ইনচার্য হাফিজুর রহমান দোকান প্রতি ছোট হলে ১ শত টাকা আর বড় হলে ২ শত টাকা করে নেন। শুধু তাই নয় মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসিক হারে টাকা নেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফাঁড়ির পাশের এক দোকানদার বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে হাফিজের সখ্যতা রয়েছে।
ইনচার্য হাফিজ রামুর স্ত্রী ইয়াবা ব্যবসায়ী হাফেজার কাছ থেকে ৫০ হাজার, কানা মতিনের ছেলে ইয়াবা
ব্যবসায়ী সুমনের কাছ থেকে ৭০ হাজার, ফেনসিডিল ব্যবসায়ী রনি মেম্বারের কাছ থেকে ৪০ হাজার, গাজা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা পাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সিএনজি স্ট্যান্ডে হফিজের চাদার ব্যাপারে জানতে চাইলে একাধিক চালক জানান, পুলিশকে টাকা না দিয়ে সড়কে গাড়ি চালানো যায় না।
চাঁদা না দিলে বিভিন্ন অযুহাতে হয়রানি করে। আর পুলিশের সাথে এ ব্যাপারে সমঝোতা করেন পরিবহন নেতা আমির হোসেন। যার নিয়ন্ত্রনে রয়েছে আসমানী ও হিমালয় পরিবহনের বাস সমূহ আমির হোসেনের এক ঘনিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, আমির হোসেন ইনচার্য হাফিজকে মাসে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দেন।এলাকাবাসী জানান, মদনপুরে পুলিশ ম্যানেজ করে সব ধরণের অপরাধ করা সম্ভব। এসব বিষয়ে ইনচার্য হাফিজের মুঠোফোনে যোগযোগ করা হলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যাদেরকে ফুটপাতে বসতে দেওয়া হয় না তারাই শত্রুতা করে এ ধরনের মিথ্যা রটনা ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে।