নাটোর সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা দিনমজুর রফিক প্রধান বলেন এই ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে মাঠে কাজ নেই তিন দিন থেকে ঘরে বসে আছি নিজেদের এবং গবাদি পশুর খাবার যোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছি।গত কয়েক দিনের হালকা মাঝারি ও মুষলধারে বৃষ্টিপাত শুরু হয় যা বিরামহীন ভাবে অব্যাহত থাকে। এতে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের চলাফেরা এবং দৈনন্দিন কাজকর্ম ব্যাহত হয়। কাঁচা ঘর বাড়ি ধসে পড়েছে উঠানে পানি জমাট বেঁধেছে রাস্তাঘাট চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে নিচু এলাকায় সবজি ক্ষেতগুলোর বেশ ক্ষতি হয়েছে পুকুর তলিয়ে মাছ বের হয়ে গিয়েছে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ভারী বর্ষণে  জেলার বিভিন্ন এলাকায় পানি জমাট বেঁধে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। দিনে এবং রাতের ভারী বৃষ্টি পাতে বসতবাড়ি ফসলি জমি রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে নিম্নচাপের প্রভাবে টানা ৩ দিনের হালকা ও ভারী বৃষ্টিতে জনদুর্ভোগ  বেড়েছে। টানা ভারী বর্ষণে এলাকায় দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে বর্ষণের কারণে শ্রমজীবীরা কাজ করতে পারছে না। 

নাটোর সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা দিনমজুর রফিক প্রধান বলেন এই ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে মাঠে কাজ নেই তিন দিন থেকে ঘরে বসে আছি নিজেদের এবং গবাদি পশুর খাবার যোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছি।গত কয়েক দিনের হালকা মাঝারি ও মুষলধারে বৃষ্টিপাত শুরু হয় যা বিরামহীন ভাবে অব্যাহত থাকে। এতে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের চলাফেরা এবং দৈনন্দিন কাজকর্ম ব্যাহত হয়। কাঁচা ঘর বাড়ি ধসে পড়েছে উঠানে পানি জমাট বেঁধেছে রাস্তাঘাট চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে নিচু এলাকায় সবজি ক্ষেতগুলোর বেশ ক্ষতি হয়েছে পুকুর তলিয়ে মাছ বের হয়ে গিয়েছে।

নাটোর সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা নীলিমা জাহান মর্নিং পোস্ট কে বলেন কয়েক দিন ভারী বর্ষণে কিছু কিছু এলাকায় আমনের ফসল আংশিক নিমজ্জিত হইলেও আগামীকাল পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী বৃষ্টি থাকবে না এবং পানি নেমে গেলে ফসলের তেমন ক্ষতি হবে না। তিনি আরো বলেন নাটোর সদর উপজেলায় ১১ হাজার ২৫ হেক্টর আমন রোপন হয়েছে। পানি নেমে গেলে ক্ষতির পরিমাণ বোঝা যাবে। আর উঁচু স্থান হওয়ায় বেগুন চাষীদের তেমন একটা ক্ষতি হবে না। নাটোর তেবাড়িয়া ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা, চন্দ্রোকলা এলাকায় তাল বেগুন নামের একটি জনপ্রিয় বেগুন চাষাবাদ হয়। বেগুন চাষের জন্য উঁচু স্থানের প্রয়োজন হয় বিধায় ওই এলাকাগুলো উঁচু তাই বেগুনের তেমন একটি ক্ষতির সম্ভাবনা  নেই বলে মনে করেন এই কৃষি কর্মকর্তা।

নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল আলম চৌধুরী মর্নিং পোস্ট কে বলেন পানি বিপদসীমার আড়াই মিটার নিচে আছে। পানি নিষ্কাশন আমার হাতে নাই। যমুনা নদীর সাথে আত্রাই, বড়াল, নারদ সহ অন্যান্য নদনদী খাল বিলের সংযোগ রয়েছে। যমুনা নদীতে যদি পানি কমতে থাকে তাহলে চিরাচরিত যে নিয়ম আছে বিগত সময়ের মতো নদ নদী খাল বিলের পানি নেমে যাবে বড় ধরনের বন্যা যদি না হয় আশা করি বন্যার পুরাভাস আমরা এখনো পাই নাই। বন্যা যদি না হয় তাহলে ফসলের তেমন ক্ষতি হবে না আর বড় ধরনের বন্যার সম্ভাবনা তেমন একটা নেই। পানি নিষ্কাশন হতে নভেম্বর ডিসেম্বর মাঝামাঝি সময়ে স্বাভাবিক নিয়মে পানি নিষ্কাশন হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিএডিসি, বিএমডিএ, বিআইডব্লিউটিএ  এরা আত্রাই এবং গুমানী নদী খনন করছে। আমাদের দুই তিন বছরের যে রেকর্ড আছে সে অনুযায়ী পানি নির্ধারিত সময়ে নিষ্কাশন হয়ে যাবে যদি পরবর্তীতে বন্যা না হয়। সামনের দিনে বন্যা না হলে চলমান পানিপ্রবাহ কৃষিতে তেমন একটা ক্ষতির প্রভাব ফেলবে না।