বেশি পরিশ্রম করতে পারেন না? শুধু অলসতা ছেড়ে দিন। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিশ্রম না করেও ভরপুর বারাকাহ পাবেন। শুধু অলসতা আর বিলাসিতার চাদরমুড়ি দিয়ে বসে থাকলে জীবন যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার দু:সংবাদ নিন। প্রতিটি জাতি বা গোত্রের পতনের শুরু অলসতা থেকেই। বারামিক সম্প্রদায়ের সাম্রাজ্য পতনের মূল কারণ হিসেবে বলা হয়, সকালের ঘুম আর সাঁঝের মদ। দাবা খেলায় সৈনিকের গতি খুবই ধীর। কিন্তু একবার শেষ ঘরে পৌঁছাতে পারলে সে একই সব হিসাব এলোমেলো করে দেয়।
অলসতার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে ইবাদাতে অলসতা। আরামের ঘুম ঘুমানোর সময় মানুষ খুব দুর্বল থাকে। আর চিরশত্রু শয়তান আক্রমণের জন্য এই সময়টিকেই বেছে নেয়। এ যেন এক যুদ্ধ। সিদ্ধান্ত আপনার হাতে। হয় আত্মসমর্পনের পতাকা নাড়বেন। নয়তো জিকিরের তরবারি, সালাতের তীর আর ঈমানী বলে শত্রুর আক্রমণ গুড়িয়ে দেবেন। সুতরাং হে নির্ভিক বীর, দেখিয়ে দিন অলসতা ও শয়তানের বিরুদ্ধে আপনার বীরত্বের ঝলক। মুসলিম উম্মাহ আজ সামষ্টিকভাবে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যহীন। এর কারণ অলস নেতৃত্ব এবং হতাশাবাদী জনগণ। অলসতা ও হতাশার মহামারীর কারণে আমরা পরনির্ভরশীল হয়ে পড়ছি এবং নিজস্ব পুঁজিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারছি না। পারছি না নিজেদের খাবার নিজেরা ফলাতে।
কর্মোদ্যম না থাকার ফলে প্রচলিত দাসবৃত্তির নীতিতে সন্তুষ্ট থাকছি ! উম্মাহর মেরুদণ্ডে অলসতার ঘুণে পোকা জেঁকে বসেছে বিধায় আমরা অসার, অনর্থক ও অশ্লীল কথা-কাজে লিপ্ত হয়েছি।চলুন জেনে নেয়া যাক অলসতার দ্বারে দশটি করাঘাত : ১। দুআ র মাধ্যমে অলসতা থেকে মুক্তি ও সাহায্য কামনা। ২। নিফাকে পতিত হওয়ার ভয় জাগ্রত করা। ৩। আখিরাতে বিনিময় পাওয়ার প্রতি বিশ্বাস। ৪। জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকা। ৫। নিজেই নিজের কর্মের হিসাব রাখুন। ৬। পরিশ্রমী ব্যাক্তিদের জীবন পাঠ। ৭। শুভাকাঙ্ক্ষী,শিক্ষক, বন্ধু বা অগ্রজের হিতোপদেশ গ্রহণ করা। ৮। অলস সহচর্য ত্যাগ করে সৎ সঙ্গ গ্রহণ। ৯। মৃত্যুর স্মরণ ও তার ভয়াবহতার কল্পনা করা। ১০। অন্তরে আশাবাদী শব্দের চাষ করা। তথ্যসূত্র: আল হারবু আলাল কাসাল/ খালিদ আবু শাদী.