আইনজীবীর সহকারী, পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন মনিরুজ্জামান।তিনি বুধবার সন্ধ্যায় বাসা থেকে বের হয়ে ব্যক্তিগত চেম্বার চলে যান। রাত ৮টার দিকে তার সহকারী শহিদুল ইসলাম চেম্বারে গেলে, ভেতর থেকে দরজা বন্ধ দেখতে পান। এসময় তিনি পাশের লোকজনকে ডাক দেন। পরে একজন দরজার ওপর দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলে মনিরুজ্জামান ইমরানকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে থাকতে দেখেন। বিষয়টি পুলিশকে জানালে তারা এসে মরদেহ উদ্ধার করেন।

ব্যক্তিগত চেম্বার থেকে মনিরুজ্জামান ইমরান (৫৫) নামের এক আইনজীবীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে শরীয়তপুর পুলিশ।মনিরুজ্জামান ইমরান জাজিরা উপজেলার মুলনা ইউনিয়নের কাউয়াদি এলাকার শাজাহান মাদবরের ছেলে। তিনি জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী ছিলেন।

বুধবার (১৯ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ পাশের একটি ভবন থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

আইনজীবীর সহকারী, পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন  মনিরুজ্জামান।তিনি বুধবার সন্ধ্যায় বাসা থেকে বের হয়ে ব্যক্তিগত চেম্বার চলে যান। রাত ৮টার দিকে তার সহকারী শহিদুল ইসলাম চেম্বারে গেলে, ভেতর থেকে দরজা বন্ধ দেখতে পান। এসময় তিনি পাশের লোকজনকে ডাক দেন। পরে একজন দরজার ওপর দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলে মনিরুজ্জামান ইমরানকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে থাকতে দেখেন। বিষয়টি পুলিশকে জানালে তারা এসে মরদেহ উদ্ধার করেন।

নিহতের ছোট বোন জোসনা বেগম বলেন, ‘ভাইয়া ভেবেছিলেন তার ডিমেনশিয়া রোগ ধরা পড়েছে। এরপর থেকেই তিনি চুপচাপ থাকতেন। আজ যে উনি এভাবে সুইসাইড করবেন ভাবতে পারছি না।’

আইনজীবীর সহকারী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘স্যার কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। রাতে আমি চেম্বারে যাওয়ার পর ভেতর থেকে দরজা বন্ধ দেখতে পাই। পরে বিষয়টি আমি অন্য আইনজীবীকে জানাই ও লোকজন ডাক দেই। একজনকে দরজার ওপর দিয়ে ভেতরে পাঠালে স্যারকে ঝুলে থাকতে দেখে চিৎকার দেন। তিনি ভেতর থেকে দরজা খুলে দিলে আমরা সবাই ভেতরে ঢুকি।’

পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, "মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেননি'। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।