মঙ্গলবার সকাল ১০টায় এসব শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে দুই ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- ওই বিদ্যালয়ের সম্রাট, রাহিত, সুচনা, শিফা, জয়, তানজিলা ও সুমিতাসহ শতাধিক শিক্ষার্থী। এসময় স্কুলে শিক্ষকদের মধ্যে রাজনীতি বন্ধ করা, নিয়মিত ক্লাস করানো, শিক্ষার্থীদের উপর কোন প্রকার জুলুম না করা, স্কুলে কোচিং করানো বন্ধ করা ও স্কুলে দক্ষ ইংরেজী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার জন্য দাবী জানিয়েছেন তাঁরা।

বগুড়ার আদমদীঘির ছাতিয়ানগ্রাম দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসহাক আলী প্রামানিক ও সহকারী শিক্ষক গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ এনে ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ মিছিল এবং মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার সকাল ১০টায় এসব শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে দুই ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- ওই বিদ্যালয়ের সম্রাট, রাহিত, সুচনা, শিফা, জয়, তানজিলা ও সুমিতাসহ শতাধিক শিক্ষার্থী। এসময় স্কুলে শিক্ষকদের মধ্যে রাজনীতি বন্ধ করা, নিয়মিত ক্লাস করানো, শিক্ষার্থীদের উপর কোন প্রকার জুলুম না করা, স্কুলে কোচিং করানো বন্ধ করা ও স্কুলে দক্ষ ইংরেজী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার জন্য দাবী জানিয়েছেন তাঁরা।

মানববন্ধনে তাঁরা আরো বলেন, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মচারিসহ ৫ পদে নিয়োগ বানিজ্য, সার্টিফিকেট নিতে গেছে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি করে কমপক্ষে অর্ধকোটি টাকা আত্মসাত করেছে। শুধু তাই নয়, সহকারী শিক্ষক গোলাম মোস্তফার কাছে কোচিং না করলে পরীক্ষায় ফেল করে দেওয়ার হুমকি দেন তিনি। এসব বিষয়ে প্রতিকার চেয়েই মূলত মানবন্ধন করা হয়েছে।

জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক এসহাক আলী বলেন, কোনো শিক্ষার্থীর কাছে আমি টাকা নেইনি। তাদের কাগজপত্রের সমস্যা থাকলে তা ঠিক করে দেই। সকল পদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়গুলো বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হক আবুসহ পরিচালনা কমিটির সদস্যরা দেখেন। অভিযোগ অস্বীকার করে সহকারী শিক্ষক গোলাম মোস্তফা জানান, ওই এলাকার একটি মহল রাজনৈতিক পরিবর্তনের কারণে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।

তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সঠিক নয়। এ বিষয়ে উপজেলা ম্যাধমিক একাডেমিক সুপারভাইজার জাহিদুল ইসলাম বলেন, ক্লাস বর্জন করে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করছেন। এমন খবর পেয়ে স্কুলে এসে শিক্ষার্থীদের সব অভিযোগগুলো সমাধানের আশ্বাস প্রদান করলে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরে যান। শিক্ষার্থীদের হাতে লেখা একটি লিখিত অভিযোগও পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।